শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০১:৩৩ রাত
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০১:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিজের কোলে বন্ধুর মৃত্যু আমাকে এখনো শিহরিত করে : মুক্তিযোদ্ধা উলফাত

মাঈন উদ্দিন আরিফ: কয়েক ঘন্টা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা কয়েকজন। আমার পাশে আমার সহকর্মী বন্ধু আমাকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। হঠ্যাৎ করে আমার পাশের বন্ধুটির মাথায় গুলি এসে লাগে। ও মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আমি গুলি বর্ষণ বন্ধ করে ওকে কোলে তুলে নিই। কিন্তু ওই সময় ওকে বাঁচানোর মত কোনো কিছুই ছিলো না আমার কাছে। বন্ধুটি পানি চেয়েছিল দিতে পারিনি। ও বলেছিলো আমার চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। আমাকে নিয়ে ভেবো না তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাও। তারপর নিজের কোলে ওর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনা মনে পড়লে আমি এখনো শিহরিত হই। মনে হলে এখনো অনেক কষ্ট পাই।

এছাড়া ১৯৭১সালের ২০নভেম্বর ঈদের দিন আমার আপন ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই থেকে আমার বাবা-মা বেচেঁ থাকাকালীন আমাদের বাসায় আর ঈদ হয়নি। তখন থেকেই ভাইয়ের কথা মনে করে ভালো ভাবে ঈদ কাটাতে পারি না আমি।

এভাবে যুদ্ধের সুখ ও দুঃখের স্মৃতিচারণ করেছেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত। ২নং সেক্টরের কুমিল্লা বর্ডার ত্রিপুরার আতিনগর ক্যাম্প প্রশিক্ষণ নেন। এবং পরে মোনাগড় ক্যাম্পে থেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এরবাইরে সুখের স্মৃতিতো রয়েছে। যুদ্ধ শেষে যখন স্বাধীন দেশে বাড়ি ফিরি তখন অনেক ভালো লেগেছে। কারণ আমি যখন বাড়ি ফিরি তখন আমার বন্ধু গ্রামের মেয়েদেরকে ডেকে বলেছিল দেখ, তোমাদের ভাই যুদ্ধ করে এসেছে। তখন মেয়েগুলো আমাকে বলছিল আপনি এতো ছোট মানুষ যুদ্ধ করেছেন! এদেশের জন্য। সবাই আমাদেরকে সম্মান করতে শুরু করলো। তখন অনেক আনন্দ লাগছিল এবং ভালো লেগেছে দেশ স্বাধীন করে। তবে এখন আবার খুব কষ্ট পাই, যখন দেখি মুক্তিযোদ্ধাদের ডিসেম্বর আসলেই খবর নেওয়া হয়। আর এগারো মাস নেওয়া হয় না। যখন দেখি মুক্তিযোদ্ধারা কষ্টে দিন কাটায়। তখন মনে হয় কার জন্য যুদ্ধ করেছি? তখন অনেক কষ্ট পাই।

যুদ্ধে যাওয়ার উৎসাহ বা সাহস কিভাবে পেয়েছিলেন এর জবাবে উলফাত বলেন, ৭১’সালে প্রথমে আমি যুদ্ধের প্রতি অকৃষ্ট হই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। কারণ আমি দেখেছি দৈনিক ইত্তেফাক মোড়ের পাশে একটি বাড়ির গেটের নিচ দিয়ে একটা ছোট ছেলে মাত্র মাথা বের করেছে, তখনই পাকিস্তানিরা তাকে গুলি করে রক্তাত করেছে। তখনই প্রতিশোধ নিতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিই এবং যুদ্ধ শুরু করি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়