ফরহাদ আমিন, টেকনাফ(কক্সবাজার) : ৬ বাংলাদেশীকে সাজা ভোগ শেষে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার। টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সোমবার দুপুরে তাদের ফেরত আনা হয়।
ফেরত আসা বাংলাদেশীরা হচ্ছে টেকনাফ অলিয়াবাদ গ্রামের মৃত খুইল্লা মিয়ার ছেলে রশিদ উল্লাহ (৩২), সেন্টমার্টিন্স’র সাইর মোহাম্মদের ছেলে হামিদ হোছাইন (৩৭), লাল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২), ওসিউর রহমানের ছেলে ফজল আহমদ (৩৫) , মো: ইসমাইলের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৩৫) ও আলী চানের ছেলে হাসিম (২২)। টেকনাফ ২ বিজিবি’র ঝিমংখালী বিওপি কোম্পানী কমান্ডর সুবেদার মো: ইব্রাহিম হোসেন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, সকাল ১০ টার সময় টেকনাফ বিজিবি বিওপি জেটি থেকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক, গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শফি,টেকনাফ মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আবুল খায়ের, বিজিবি সুবেদার মো: ইব্রাহিমসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল মংডুর উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেয়।
মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও মংডু’র শহরের ইমিগ্রেশন অফিসার ইউ অং চ্য সিন’র নেতৃত্বে ৮ সদস্যে ও প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। সাথে বৈঠক শেষে দুপুর ১২ টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট জেটিতে ফিরে আসেন।
২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর সেন্টমার্টিন উপকূলের পাশে মাছ ধরারত অবস্থায় এই ৬ জেলেকে মিয়ানমার সরকারী বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের সাজা প্রদান করেন। সাজা ভোগ শেষে তাদেরকে ফেরত নেওয়ার জন্য পত্র করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। এর সূত্র ধরে তাদের ফেরত আনা হয়।
সাজা ভোগ শেষে ফেরত আসা রশিদ উল্লাহ বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সেন্টমার্টিন এলাকা থেকে আমাদের ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার বাহিনী। প্রায় ১৪ মাস কারাভোগ করার পর দেশে ফেরত আসতে পেরে ভালই লাগছে।
টেকনাফ মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আবুল খায়ের বলেন, ফেরত আনা ৬ বাংলাদেশীকে তদন্ত সাপেক্ষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, অত্যান্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠকটি সম্পন্ন হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :