মারুফ হাসান নাসিম : ফিলিস্তিনে অস্থিরতা থাকবে, আন্দোলন হবে, বিক্ষোভ হবে, হত্যা হবে, মানুষ আহত হবে এবং বাংলাদেশ বরাবরের মতো এর বিরুদ্ধে অবস্থান করে এবং করবে।
বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ জনগণ চায় না জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হোক। আরব সরকারগুলো জনগণকে সন্তুষ্ট করার জন্য হয়তো বা কিছু স্টেটমেন্ট দিবে, কিছু তৎপরতা দেখাবে, কিন্তু কংক্রিট কিছু হবে না। কারণ আরব বিশ্ব এখন ইসরায়েলকে নয় ইরানকেই তাদের প্রধান শত্রু হিসাবে দেখছে। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহি চৌধুরী এই সব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আরব রাষ্ট্রগুলো এখন যে পর্যায়ে আছে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করে খুব বেশি এগোতে পারবে না। হয় তো রাস্তায় বিক্ষোভ হবে, আন্দোলন হবে কিন্তু বিশেষ কোনো লাভ হবে না। কারণ সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো সম্পূর্ণভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণভাবে যে আন্দোলন হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও বিরোধ দেখা দিচ্ছে, এতে তেমন একটা চাপের সম্মুখীন হবে না, কারণ আরবের মূল সরকারগুলোই ফিলিস্তিন ইস্যু থেকে সরে গিয়ে অন্যান্য ইস্যুতে চলে যাচ্ছে। তারা এখন ইরানকে নিয়ে পড়ছে। তারা ইরানকে তাদের প্রধান শত্রু হিসাবে গণ্য করছে, ইসরায়েলকে নয়। তাদের কাছে এখন এটাই মূল ইস্যু। ইতিমধ্যে তারা ইয়েমেনের সঙ্গে পুরোপুরি একটি যুদ্ধে ব্যস্ত। এই প্রেক্ষাপটে এখন আন্দোলন হতে পারে কিন্তু আমার মনে হয় না দীর্ঘমেয়াদি কোনো সুফল আসবে। এই আন্দোলনগুলোতে মানুষ নিহত হবে, আহত হবে এটাই স্বাভাবিক।
এখন যদি বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে বলবো, বাংলাদেশ সব সময়ই এর বিপক্ষে ছিল এবং বাংলাদেশ কখনোই চায় না জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হোক। বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কও নেই।
আপনার মতামত লিখুন :