মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম : রোহিঙ্গাদের যেভাবে রাখা হয়ে, তাতে স্থানীয়দেরসহ পরিবেশ দূষণ হওয়ার কথা। এটা না রোহিঙ্গাদের জন্য সুবিধাজনক ব্যবস্থা, না স্থানীয় জনগণের জন্য সুবিধাজনক ব্যবস্থা, না সরকারিভাবে সুবিধাজনক ব্যবস্থা। এটা যদি সমাজিক সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি, একটি ফুটবল মাঠে ১০টি পরিবারকে এনে থাকতে দেওয়া হয়। বলা হয়, তোমরা এখানে আশ্রয় নাও। তাঁবু করে দেওয়া হয়, তখন ওই ফুটবল মাঠের ঘাঁসগুলো তারা তুলে ফেলবে বা চলাচল করতে যেয়ে ঘাঁস উঠে যাবে। কোনো গ্রামে যদি কোনো ফলের বাগান ভেতরে ঘর বেঁধে থাকে, তাহলে ওই বাগানটি নষ্ট হয়ে যাবে। সে কারণে আমাদের দেশের বাগানগুলোকে রক্ষা করে থাকি। আমাদের দেশের বাগানগুলোকে নষ্ট হতে দেই না।
চলাচল নিয়ন্ত্রণ করি। আমি কথাটা যে কারণে বললাম, রোহিঙ্গারা যেখানে আশ্রয় নিয়ে আছে, সে স্থানটি হলো কিছু সমতল ভূমি, পাহাড় ও টিলা গাছপালা ছিল কিন্তু তাদের প্রয়োজনে হোক অপ্রয়োজনে হোক আইনিভাবে বেআইনিভাবেই হোক তারা গাছপালা কেটে ফেলছে। তারা গাছপালা আরও কাটবে। সুতরাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবেশ নষ্ট হতে থাকবে, সেখানে তাদের বাসস্থান তৈরি করছেন। এতো অল্প জায়গার মধ্যে এতোগুলো পরিবার, একটা পরিবারের জন্য একটা তাবু করা হয়েছে, সেই তাবুগুলো এত ছোট সেখানে দিনের পর দিন সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস থাকা যায় না। আবার এর বাইরে আমাদের কিছু করা সম্ভবও না। এটা সবার জন্য অসুবিধাজনক পরিস্থিতি।
পথ একটাই বিভিন্ন দেশের বলিষ্ঠ কূটনীতির মাধ্যমে ও বাংলাদেশের বলিষ্ঠ সরকারি কূটনীতির মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। আমাদের শর্ত মোতাবেক ফেরত পাঠাতে হবে।তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে এবং তাদের উপর কোনো অত্যাচার হবে নাÑ এমন গ্যারান্টি দিয়ে ফেরত পাটাতে হবে। যারা পরিবেশ রক্ষা করছে সরকারিভাবে বা এনজিওর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে পরিবেশ রক্ষার প্রবণতা একটু কমবে। যে ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা অনেক বেশি, সে ক্যাম্পগুলোকে বিস্তৃত বা বড় করতে হবে, দরকার হলে নতুন করে ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। তাহলে রোহিঙ্গাদের জন্য পরিবেশটা একটু ভাল হবে।
পরিচিতি : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
আপনার মতামত লিখুন :