শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:১৭ সকাল
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরা মেডিকেলে ভর্তিতে অনিয়মই নিয়ম, তোয়াক্কা নেই মেধা তালিকার

নুরুল আমিন হাসান : রাজধানীর ‘উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ’ হাসপাতালে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তিতে নানা অনিয়মের কারণে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে। মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম নীতি। তোয়াক্কা করা নেই মেধা তালিকার। আগে আসলে আর টাকা হলেই মিলছে মেডিকেরে ভর্তির সুযোগ।

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে রোববার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা মিলে। আর আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তির সময়সীমা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তাড়াহুড়ো করে মৈষ করা হচ্ছে ভর্তি প্রকৃয়া। অপরদিকে মেধাতালিকার শীর্ষে থাকা অনেকেই তাড়াহুড়া করে ব্যাংক ড্রাফট করে এলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির জন্য সাক্ষাৎ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

ভর্তি হতে আগত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, বৃহস্বপতিবার বিকেলে পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তখন ব্যাংক ড্রাফট করার মত সময় ছিল না। অথচ ওই দিনই ১৭ জন শিক্ষার্থী ১৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকার পে অর্ডার জমা দেন। এটা কেমন করে সম্ভব? আর তারপর শনিবার ও রোববার ছিল সরকারী ছুটি। তারা আজ সকালে এসে ভর্তি হয়ে যান। এরপরও আমরা অনেকক্ষণ লাইন ধরে আছি। কিন্তু ভেতর থেকে অফিসের লোকজন ডেকে ডেকে লাইন থেকে কাউকে কাউকে নিয়ে যাচ্ছেন। এখানে কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই।

তারা অভিযোগ করে আরো জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবারও কলেজের ওয়েবসাইটে খুঁজে তিনি কিছু পাওয়া যায় নি। আগে এলে আগে পাবেন, সে রকমও কিছু ছিল না। অথচ যারা আগে যোগাযোগ করেছেন তারাই ভর্ভি হচ্ছেন। তাই ভর্তি হতে এসে এমন বেহাল দশা দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই কলেজে মোট আসন ৯০টি। এর মধ্যে বিভিন্ন কোটায় ১৮টি । আর সাধারণ কোটায় ৭২টি আসন। এর মধ্যে ১১ ডিসেম্বর প্রথম দিনে ১৭ টি আসনে ভর্তি হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। রোববার বাকি ৫৭ আসনে ভর্তি চলছে। যে ১৭ জন আগাম পে-অর্ডার পরিশোধ করে ভর্তি হয়েছেন তাদের জাতীয় মেধাতালিকায় সিরিয়াল ছিল যথাক্রমে ১৯০৪৩, ১৮৩০২, ১৫৫৮৬, ১৪৯৪৩, ১২৪২৭, ১২৪২৭, ১২০৮৫, ১১৫৬৬, ১১০৪৫, ১০৮১৭, ১০০৯৫, ৯৭৭১, ৯২১৬, ৮৮১৮, ৮০৭১, ৭৪৩৮ ও ৭১৭৮। তারা প্রত্যকেই সরকার নির্ধারিত টিউশন ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই সরকার নির্ধারিত মেধাতালিকার অনেক পেছনের সিরিয়ালে রয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, শুধুমাত্র গোপনে অর্থ লেনদেন করে তদবির ও যোগাযোগ করেছেন এমন শিক্ষার্থীদেরকেই সাক্ষাতের সুযোগ ও ভর্তি করা হয়। গভর্নিংবডির সদস্যদের মধ্যে অসাধুরা অবৈধভাবে ভর্তির সুযোগ করে দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা। মেকিকেল কলেজ কতৃপক্ষের নজিরবিহীন অনিয়মের ফাঁদে পড়ে মেধাতালিকার সিরিয়ালে ভর্তির সুযোগ রয়েছে এমন শিক্ষার্থীর মেডিকেলে ভর্তির স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাচ্ছে। মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার মানদন্ড।

অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন বলেন, গত বছর আমরা মেধাতালিকা অনুযায়ী ডেকেও শিক্ষার্থী পাইনি। তাই আমরা এবার এই পদক্ষেপ নিয়েছি। কে আগে এসেছেন, কীভাবে টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। আর বৃহস্পতিবার পে অর্ডার জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ব্যাংকের বিষয়। হয়তো তাঁদের সিরিয়াল সামনের দিকে। তাই হয়তো তারা আগাম জমা দিয়ে রেখেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভর্তির নোটিশ প্রকাশ করা হয়। প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে ৭৩ জনকে ডাকা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর ভর্তি হন ১৫ জন। সাধারণ কোটার বাকি ৫৭ আসনের জন্য ১৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকার ৭৪ নম্বর সিরিয়াল থেকে ৫১৩ পর্যন্ত ডাকা হয়।

উত্তরা মেডিকেলে ভর্তিতে অনিয়মই নিয়ম, তোয়াক্কা নেই মেধা তালিকার

নুরুল আমিন হাসান : রাজধানীর ‘উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ’ হাসপাতালে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তিতে নানা অনিয়মের কারণে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে। মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম নীতি। তোয়াক্কা করা নেই মেধা তালিকার। আগে আসলে আর টাকা হলেই মিলছে মেডিকেরে ভর্তির সুযোগ।

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে রোববার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা মিলে। আর আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তির সময়সীমা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তাড়াহুড়ো করে মৈষ করা হচ্ছে ভর্তি প্রকৃয়া। অপরদিকে মেধাতালিকার শীর্ষে থাকা অনেকেই তাড়াহুড়া করে ব্যাংক ড্রাফট করে এলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির জন্য সাক্ষাৎ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

ভর্তি হতে আগত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, বৃহস্বপতিবার বিকেলে পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তখন ব্যাংক ড্রাফট করার মত সময় ছিল না। অথচ ওই দিনই ১৭ জন শিক্ষার্থী ১৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকার পে অর্ডার জমা দেন। এটা কেমন করে সম্ভব? আর তারপর শনিবার ও রোববার ছিল সরকারী ছুটি। তারা আজ সকালে এসে ভর্তি হয়ে যান। এরপরও আমরা অনেকক্ষণ লাইন ধরে আছি। কিন্তু ভেতর থেকে অফিসের লোকজন ডেকে ডেকে লাইন থেকে কাউকে কাউকে নিয়ে যাচ্ছেন। এখানে কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই।

তারা অভিযোগ করে আরো জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবারও কলেজের ওয়েবসাইটে খুঁজে তিনি কিছু পাওয়া যায় নি। আগে এলে আগে পাবেন, সে রকমও কিছু ছিল না। অথচ যারা আগে যোগাযোগ করেছেন তারাই ভর্ভি হচ্ছেন। তাই ভর্তি হতে এসে এমন বেহাল দশা দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই কলেজে মোট আসন ৯০টি। এর মধ্যে বিভিন্ন কোটায় ১৮টি । আর সাধারণ কোটায় ৭২টি আসন। এর মধ্যে ১১ ডিসেম্বর প্রথম দিনে ১৭ টি আসনে ভর্তি হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। রোববার বাকি ৫৭ আসনে ভর্তি চলছে। যে ১৭ জন আগাম পে-অর্ডার পরিশোধ করে ভর্তি হয়েছেন তাদের জাতীয় মেধাতালিকায় সিরিয়াল ছিল যথাক্রমে ১৯০৪৩, ১৮৩০২, ১৫৫৮৬, ১৪৯৪৩, ১২৪২৭, ১২৪২৭, ১২০৮৫, ১১৫৬৬, ১১০৪৫, ১০৮১৭, ১০০৯৫, ৯৭৭১, ৯২১৬, ৮৮১৮, ৮০৭১, ৭৪৩৮ ও ৭১৭৮। তারা প্রত্যকেই সরকার নির্ধারিত টিউশন ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই সরকার নির্ধারিত মেধাতালিকার অনেক পেছনের সিরিয়ালে রয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, শুধুমাত্র গোপনে অর্থ লেনদেন করে তদবির ও যোগাযোগ করেছেন এমন শিক্ষার্থীদেরকেই সাক্ষাতের সুযোগ ও ভর্তি করা হয়। গভর্নিংবডির সদস্যদের মধ্যে অসাধুরা অবৈধভাবে ভর্তির সুযোগ করে দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা। মেকিকেল কলেজ কতৃপক্ষের নজিরবিহীন অনিয়মের ফাঁদে পড়ে মেধাতালিকার সিরিয়ালে ভর্তির সুযোগ রয়েছে এমন শিক্ষার্থীর মেডিকেলে ভর্তির স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাচ্ছে। মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার মানদন্ড।

অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন বলেন, গত বছর আমরা মেধাতালিকা অনুযায়ী ডেকেও শিক্ষার্থী পাইনি। তাই আমরা এবার এই পদক্ষেপ নিয়েছি। কে আগে এসেছেন, কীভাবে টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। আর বৃহস্পতিবার পে অর্ডার জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ব্যাংকের বিষয়। হয়তো তাঁদের সিরিয়াল সামনের দিকে। তাই হয়তো তারা আগাম জমা দিয়ে রেখেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভর্তির নোটিশ প্রকাশ করা হয়। প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে ৭৩ জনকে ডাকা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর ভর্তি হন ১৫ জন। সাধারণ কোটার বাকি ৫৭ আসনের জন্য ১৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকার ৭৪ নম্বর সিরিয়াল থেকে ৫১৩ পর্যন্ত ডাকা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়