শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:০৯ সকাল
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একুশ শতকের সেরা ডেলিভারি!

স্পোর্টস ডেস্ক : ১৯৯৩ সালের অ্যাশেজে করা শেন ওয়ার্নের একটি ডেলিভারি পরিচিত হয়ে আছে ‘বল অব দা সেঞ্চুরি’ নামে। এবার মিচেল স্টার্কের হাত থেকে বের হলো অসাধারণ একটি ডেলিভারি, যেটিকে বলা হচ্ছে এই শতাব্দির সেরা ডেলিভারি!

চলতি অ্যাশেজের পার্থ টেস্টের চতুর্থ দিনে রোববার সেই ডেলিভারিতে জেমস ভিন্সকে বোল্ড করেছেন স্টার্ক। সময় তখন বিকেল ৪টা ৬ মিনিট। রাউন্ড দা উইকেটে স্টাম্পের বেশ দূর থেকে বোলিং ক্রিজের সীমানা ঘেষে করা স্টার্কের ডেলিভারি মিডল স্টাম্পে পিচ করে একটু দেরিতে সুইং করে ভেঙে দেয় অফ স্টাম্প।

ব্যাট আর বলের মাঝে ছিল বিশাল ব্যবধান। বল ভিন্সের ব্যাটকে ফাঁকি দেয় অনেকটা লেগ স্পিনারের মত। ভিন্স তখন খেলছিলেন ৫৫ রানে। দারুণ খেলতে থাকা ব্যাটসম্যান পুরো হতভম্ব হয় যান ওই ডেলিভারির চমকে।

১৯৯৩ অ্যাশেজের ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মাইক গ্যাটিংকে বোল্ড করেছিলেন ওয়ার্ন। বল লেগ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে পিচ করে বিশাল টার্ন করে চুমু দেয় অফ স্টাম্পে। হতভম্ব গ্যাটিং বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিছুক্ষণ। সেই ডেলিভারি পরে খ্যাতি পেয়ে যায় ‘বল অব দা সেঞ্চুরি’ হিসেবে।

স্টার্কের ডেলিভারির সময় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন ওয়ার্ন। লেগ স্পিন কিংবদন্তি বলেন, “এই বলে ভিন্সের আসলে খুব বেশি কিছু করার ছিল না।”

পরে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে ওয়ার্ন লিখেছেন, “এটিই কি একুশ শতকের সেরা ডেলিভারি?”

মাইকেল ভন প্রশ্ন ছোড়েননি; এই ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক সরাসরিই এটিকে ঘোষণা দিয়েছেন ‘বল অব দা সেঞ্চুরি’ হিসেবে।
ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক যোগ করেন, “কেউ বলতে পারে, ভিন্স সোজা খেলতে পারত। কিন্তু ডেলিভারিটি আসলে ছিল ‘আনপ্লেয়েবল’।

ডেলিভারিটি দেখে সাবেক ওপেনার ও ধারাভাষ্যকার মাইকেল স্ল্যাটারের মনে পড়ে গেছে পেস কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের কথা। আকরাম নিজেও টুইট করেছেন উচ্ছ্বসিত হয়ে, “কী দুর্দান্ত ডেলিভারি! মিচেল স্টার্ক, তুমি আমাকে আমার বোলিংয়ের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছো। সব বাঁহাতি পেসারকেই তুমি গর্বিত করেছো।”

নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম বলছেন, “ভিন্সকে আউট করা ডেলিভারিটি ক্রিকেট ইতিহাসের যে কোনো ব্যাটসম্যানকেই আউট করে দিত।”

অনেকেই অবশ্য এটিকে দারুণ ডেলিভারি বললেও ‘বল অব দা সেঞ্চুরি’ আখ্যা দেওয়াকে বলছেন বাড়াবাড়ি। তবে তাদেরকে জবাব দিয়েছেন সাবেক ইংলিশ স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান।

“যারা বলছে বাড়াবাড়ি, তারা ক্রিকেট খেলাটা বোঝে না। রাউন্ড দা উইকেটে একজন বাঁহাতি পেসার ৯০ মাইল গতিতে এতটা সুইং করিয়েছে, স্পিনাররাও যতটা টার্ন করাতে পারে না… টেস্ট ক্রিকেটে আমার জীবনে দেখা সেরা ডেলিভারি।”

“লোকে বলছে, এটা উইকেটের ফাটলে পড়ে এতটা সুইং করেছে। কিন্তু ওয়ার্নের ‘বল অব দা সেঞ্চুরি’ ডেলিভারিটিও উইকেটের ক্ষতে পড়েছিল। এই ডেলিভারি শচিন টেন্ডুলকারকে ১ হাজার বারের মধ্যে ১ হাজার বারই আউট করে দেবে। ডন ব্র্যাডম্যানকেও ১ হাজার বারের মধ্যে ১ হাজার বারই আউট করবে। স্টিভেন স্মিথকে ১ হাজার বারের মধ্যে ১ হাজার বারই আউট করবে। এটা আনপ্লেয়েবল।”

আর দিনের খেলা শেষে অসহায় ভিন্সের সরল স্বীকারোক্তি, “এই বল যতবার হবে, আমি ততবারই আউট হব।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়