শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:০০ সকাল
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২০২০ সালের মধ্যে বিটকয়েন উৎপাদনে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়বে

বাঁধন : বর্তমান বিশ্ব বিটকয়েন খুবই দ্রুত হারে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। দিনে দিনে এটির ব্যবহারও বাড়ছে। অতিরিক্ত চাহিদা থাকার ফলে এটির দাম প্রতিনিয়তই আকস্মিক হারে বাড়ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। এসকল তথ্য হয়তো আমাদের সকলের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে এই ডিজিটাল মুদ্রার উৎপাদনে যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের দরকার পড়ে, এটা কতজন জানে? একটি বিটকয়েনের আদান প্রদান করতে এতো পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে যা দিয়ে একটি মধ্যবিত্তের পুরো মাসের বিদ্যুতের চাহিদা অনায়াসেই মেটানো সম্ভব।

বিটকয়েনের উৎপাদন অবশ্য বিটকয়েন মাইনিং নামেই বেশি পরিচিত। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে বলা হয়, প্রতি বছর পুরো বিশ্বের জন্যে বিটকয়েন মাইনিং করতে প্রায় ডেনমার্কের বিদ্যুতের চাহিদার সমপরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে। এবং প্রতি মাসেই বিটকয়েন মাইনিং প্রায় ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে, যার অর্থ এই দাঁড়ায় যে ২০১৯ সাল নাগাদ বিটকয়েন মাইনিং এ  যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুতের চাহিদা সমপরিমাণ বিদ্যুতের দরকার পড়বে।

এই গতিতে এই বিটকয়েন উৎপাদন বাড়তে থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে পুরো বিশ্বের বিদ্যুতের চাহিদা ছাড়িয়ে যাবে এই ডিজিটাল মুদ্রার উৎপাদনে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের চাহিদা।

আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, একজন বিটকয়েন মাইনারের (যে বিটকয়েন উৎপাদন করে) প্রায় ৬০ শতাংশ আয় এই বিটকয়েন মাইনিং এর বিদ্যুতের খরচে লেগে যাবে।

বিটকয়েন কি?

বিটকয়েন হল ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয় না।

কিভাবে বিটকয়েন তৈরি হয়?
কাগজ যেমন প্রচলিত মুদ্রার তৈরির একমাত্র উপায়, তেমনিই ‘বিটকয়েন’ শুধু ‘মাইনিং’ এর মাধ্যমে ভার্চুয়ালি তৈরি হয়। তবে একজন বিটকয়েন ব্যবহারকারী বিভিন্ন উপায়ে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি উপার্জন করতে পারেন। কিন্তু মাইনিং-ই হচ্ছে বিটকয়েন তৈরির একমাত্র পন্থা।

কেন এই কাজটিকে ‘মাইনিং’ বলা হয়?

মূলত স্বর্ণখনি থেকে মাটি খুঁড়ে স্বর্ণ তুলে আনার মতোই কঠিন কাজ বিটকয়েন মাইনিং,তাই এই নাম দেওয়া। যে বিটকয়েন ‘মাইনিং’ করে তাকে ‘বিটমাইনার’ বলে। মাইনার বিশেষায়িত (স্পেশালাইজড) হার্ডওয়্যারে চালানো কমপিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ‘মাইনিং’ করে  থাকে।

কেন এই বিটকয়েনের উৎপাদনে এই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়?

বিটকয়েন উৎপাদনে কম্পিউটারের প্রোসেসিং পাওয়ারের মাধ্যমে বেশকিছু অংকের সমাধান করতে হয়। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য স্পেশাল এবং অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন হার্ডওয়্যার তৈরি করে থাকে। এবং এই অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন হার্ডওয়্যারের প্রচুর বিদ্যুৎ প্রয়োজন পড়ে। বিটকয়েন মাইনিং-এর সময় কম্পিউটারের ১০০ শতাংশ কার্যক্ষম হতে হয়, যার জন্যে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যয় হয়।

বিশ্বে বিটকয়েন মাইনিং করার জন্যে প্রচুর ‘মাইনিং স্টেশন’ স্থাপিত হয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ বিটকয়েন আরোহণ করতে পারছেন। তবে বিটকয়েনের দ্রুত সম্প্রসারণ ক্রমেই বিশ্বকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রচলিত মুদ্রার বদলে স্থান দখল করে নেবে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রা। অর্থ আদান প্রদানের সময় ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত থাকায় বিটকয়েনের চাহিদাও অনেক। এই কারণেই বেড়ে উঠছে এই মুদ্রার উৎপাদন এবং পরিচালনা করার প্রতিষ্ঠান।

তবে আমাদের বিশ্বের সীমিত সম্পদের কথা মাথায় রেখে আমাদের একটু চিন্তা করা উচিত, আমাদের বিশ্বের কি পরিবেশগত দিক দিয়ে এই বিটকয়েন প্রচলনের সামর্থ্য রয়েছে? সূত্র : ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়