শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:২৮ সকাল
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুই প্রধান দলের কাছেই চ্যালেঞ্জ

উম্মুল ওয়ারা সুইটি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরে দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের জন্য এই নির্বাচনে জয়ী হওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনীতিক ও বিশেষজ্ঞ মহল। তারা বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটি সরকারের জন্য একটি পরীক্ষা। কারণ বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই এই সরকারের সময় নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রেখে জয়ী হওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে আওয়ামী লীগের। অন্যদিকে বিএনপির চ্যালেঞ্জ হলো এমন প্রার্থী দেওয়া- যাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে সে জয়ী হতে পারে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে যদি বিএনপির পরাজয় হয়, তবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির অভিযোগগুলো ভুল প্রমাণিত হবে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে সংশয় থাকলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। প্রত্যেকেই জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী খুঁজছে।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আনিসুল হকের মতো প্রার্থী খুঁজে পাওয়া কঠিন। আনিসুল হক যে ইমেজ তৈরি করেছিলেন, সেই ইমেজের প্রার্থী সংকট রয়েছে। তাছাড়া এবার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক টিম ঢাকা উত্তরের নির্বাচনে সক্রিয় থাকবে। আর যদি প্রার্থী হেরে যায় তাহলে বিষয়টি আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তিকর হবে। এই হার জাতীয় নির্বাচনেও নেতিবাচক হবে। তিনি বলেন, কোনো কারণে নির্বাচন না হলে তা আওয়ামী লীগের জন্য অনেক বেশি ভালো। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গতবারও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হতেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হলো, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা না দেওয়া। তিনি বলেন, আগে তো তফসিল ঘোষণা হোক। আমরা যোগ্য প্রার্থীই দেবো।

তবে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এ নির্বাচনকে দল চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। তাই জয়ী হওয়ার যোগ্য প্রার্থীই খোঁজা হচ্ছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায়। আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে হলে ভালো প্রার্থী ছাড়া মাঠে নামবে না দল।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদা মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের যোগ্য লোকের অভাব নেই। সরাসরি দলীয় নেতা বা দলের বাইরে কর্মী-সমর্থক অনেক আছে, যাদের মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হবে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড যথাসময়ে তাদের থেকে একজনের নাম চূড়ান্ত করবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের জন্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জ এই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। কারণ ইসি নিয়ে বিএনপির অভিযোগ এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে এমনিতেই একটি বিতর্ক চলছে। তাই ইসির জন্য এই নির্বাচন হবে পরীক্ষা। আর বিএনপিকে জয়ী হওয়ার যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। তারাও চায় একাদশ নির্বাচনের আগে রাজধানীদের নিজেদের অবস্থান জানান দিতে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়