শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:০৬ রাত
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ যে কারণে করতে হবে

মুহাম্মাদ আবু আখতার : আমাদের সমাজে এমন কিছু লোক দেখা যায় যারা নিজেরা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করে না। কিন্তু অন্য যারা এ কাজ করে তাদের সমালোচনা করে। জর্জরিত করে বিভিন্ন প্রশ্নবাণে। এসব লোক আর গোনাহে লিপ্ত ব্যক্তি সমান অপরাধী। উভয় দলকেই আল্লাহর কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। হজরত দাউদ (আ.) এর উম্মতের ঘটনা এর বাস্তব প্রমাণ। তার উম্মতের জন্য শনিবারে মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। প্রথম একদল লোক এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ শিকারে লিপ্ত হল৷ দ্বিতীয় আরেকদল লোক নিজেরা মাছ শিকার হতে বিরত থেকে প্রথম দলকে এ কাজ থেকে নিষেধ করল। তৃতীয় আরেকদল লোক মাছ শিকারে লিপ্ত হয়নি। কিন্তু মাছ শিকারকারীদেরকে এ কাজ হতে নিষেধও করেনি। বরং যারা নিষেধ করেছিল তাদেরকে ভর্ৎসনা করল। এ ঘটনার কারণে যখন মহান আল্লাহর গজব নাযিল হল তখন শুধুমাত্র দ্বিতীয় দল তা থেকে রক্ষা পেল৷ বাকি দুই দলই মহান আল্লাহর গজবে নিকৃষ্ট বানরে পরিণত হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হলো। উভয় দলকেই পবিত্র কুরআনে জালিম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এ ঘটনা বর্ণনা করে বলেন,

‘আর তাদের কাছে সে জনপদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর যা ছিল নদীর তীরে অবস্থিত। যখন শনিবার দিনের নির্দেশের ব্যাপারে তারা সীমাতিক্রম করতে লাগল, যখন মাছগুলো তাদের কাছে শনিবার দিন পানির উপর আসতে লাগল, আর যেদিন শনিবার হত না, আসত না। এভাবে আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি। কারণ, তারা ছিল নাফরমান’। (সুরা আরাফ : ১৬৩)

আমরা অনেক সময় মানুষের সমালোচনার ভয়ে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা থেকে বিরত থাকি। কিন্তু কিয়ামতের দিন এজন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে জবাবদিহীর সম্মুখীন হতে হবে। হজরত আবু সাঈদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ যেন নিজেকে অপমানিত না করে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের কেউ নিজেকে কিভাবে অপমানিত করতে পারে? তিনি বলেন, সে কোন বিষয়ে আল্লাহর বিধান অবহিত থাকা সত্তে¡ও তার পরিপন্থী কিছু হতে দেখেও সে সম্পর্কে কিছুই বললো না। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেন, অমুক অমুক ব্যাপারে কথা বলতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিলো? সে বলবে, মানুষের ভয়। তখন আল্লাহ বলবেন, আমাকেও তো তোমার ভয় করা উচিত ছিলো। (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৪০০৮)

রাসুল (সা.) অন্য হাদিসে আল্লাহর কসম করে সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধের ক্ষেত্রে অবহেলাকারীদের নিশ্চিত শাস্তি হওয়ার এবং তাদের দোয়া কবুল না হওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছেন। হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎকাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহ তায়ালা অতি শীঘ্রই তোমাদের উপর তাঁর শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তাঁর নিকট দুআ করলেও তিনি তোমাদের সেই দুআ কবুল করবেন না। (সুনানে তিরমিযী : ২১৬৯) সম্পাদনা : জাকারিয়া হারুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়