শিরোনাম
◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:৫৪ সকাল
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আলীবাবা একটি টিমওয়ার্ক

ডেস্ক রিপোর্ট  : ডিজিটাল বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মসহ অনেকের কাছে অনলাইন কেনাকাটা সুপরিচিত। এমন মানুষদের কাছে আলীবাবা নামটিও অপরিচিত নয়। এই আলীবাবা আরব্য রজনীর নয়, অনলাইন কেনাকাটার আলীবাবা ডটকম। অনলাইনে কেনাকাটায় বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান চীনের আলীবাবা। আর তিল তিল গড়ে আলীবাবার বর্তমান সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন চীনা তরুণ জ্যাক মা। চীনা এক ইংরেজি শিক্ষক থেকে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনী হয়েছেন জ্যাক। আলীবাবা গড়তে গিয়ে জীবনে অনেক চড়াই-উৎরাই পেড়োতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘আলীবাবা, দ্য হাউস দ্যাট জ্যাক মা বিল্ট’ বইয়ে উঠে এসেছে আলীবাবাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসায় জ্যাক মার সংগ্রামের কথা। বইটির কিছু কিছু অংশ বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য অনুবাদ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা ইনসাইডার। আজ থাকল দ্বিতীয় অধ্যায়:

বেশিরভাগ কোম্পানিই তাদের প্রতিষ্ঠাতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তবে আলীবাবার মতো এতটা নয়। জ্যাকের এত বড় প্রভাব এসেছে তাঁর শেখানোর দক্ষতা থেকে। যদিও শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়েছিল অনেক আগেই। জ্যাক মজা করে বলেন, `সিইও‘ এর পূর্ণরূপ `চিফ এডুকেশন অফিসার‘ হলে মন্দ হতোনা!

ইটি

কোনো সন্দেহ নেই আলীবাবা মানেই জ্যাক মা। খাট ও হালকা জ্যাক মিডিয়ায় দুর্বল একজন মানুষ হিসেবেই পরিচিত হন। দেখতে অতি সাদামাটা জ্যাক মা। স্বতন্ত্র চেহারাই তাঁকে বাড়তি সুবিধা এনে দিয়েছে। তার এই সাধাসিধে চেহারাকে কখনোই কর্পোরেট নেতা মনে হয়না। আবার চেহারার গঠনে স্পিলবার্গের চলচ্চিত্র ই টির মিল থাকায় অনেকে চীনা জ্যককে ইটি বলেন। অন্য ব্যবসায়ী নেতারা যেখানে তাদের শিক্ষা আর অন্যান্য নিয়ে দম্ভ করে, জ্যাক তেমন কিছুই করেন না। তিনি বলেন,`আমার কোনো ক্ষমতাধর বা ধনী বাবা ছিল না।‘ পড়াশোনার জন্য অন্য ক্ষমতাধরদের মতো সে বাইরে পড়াশোনাও করেননি। টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা না করেও টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন তিনি। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমি আজ পর্যন্ত কোডিং বুঝিনা, ইন্টারনেটের পিছনের প্রযুক্তিও আমি বুঝিনা।

খুব সাধারণ অবস্থা থেকে সে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। তিনি বলেন্, `আমি খুব সাধারণ, স্মার্ট নই। সবাই ভাবে আমি খুব স্মার্ট, কিন্তু আমার মস্তিষ্কে যথেষ্ট ঘাটতি আছে।

জ্যাক মা হলিউড চলচ্চিত্র ফরেস্ট গাম্পের বড় ভক্ত। তাঁর প্রথম দিককার ভাষণে ফরেস্ট গাম্পের কথা থাকতোই। জ্যাকের ভাষায়, ‘ফরেস্ট গাম্পকে সবাই বোকা ভাবলেও, সে নিজের কাজটা জানতো।’ আলীবাবার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে জ্যাকের গাম্প ভক্তি এখনো অটুট। এ নিয়ে একটি মজার ঘটনাও আছে। আলীবাবার শেয়ার ছাড়া হয়েছে। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে জ্যাকের সরাসরি সাক্ষাৎকার নিচ্ছে টেভি চ্যানেল সিএনবিসি। প্রিয় ব্যক্তিত্ব জিঙ্গেস করতেই জ্যাকের উত্তর ফরেস্ট গাম্প। উপস্থাপক কিছুটা বিরতি দিয়ে জিঙ্গেস করলেন, আপনি জানেন তো ফরেস্ট গাম্প একটি কাল্পনিক চরিত্র।

জ্যাকের মন্ত্র

জ্যাক আলীবাবার দর্শন ব্যাখ্যা করে বলেন, `প্রথমে ক্রেতা, দ্বিতীয় কর্মী এবং তৃতীয় শেয়ারহোল্ডাররা।‘ তার কাছে প্রাধান্য তার ক্রেতাগোষ্ঠী। এই তিন গোষ্ঠীর জন্যেই আলাদা আলাদা উপযুক্ত সেবা ব্যবস্থা রয়েছে আলীবাবার। আর জ্যাকের মন্ত্রের কারণেই এতোটা সফল আলীবাবা।

কোম্পানি ক্যাম্পাস এবং কালচার

জ্যাকের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ আরো স্পষ্ট হয় যখন আলীবাবার ওয়েটল্যান্ডের ২.৬ মিলিয়ন স্কয়ার ফুটের ক্যাম্পাস হেডকোয়ার্টার দেখে। জাঁকজমকে পরিপূর্ণ এ কোয়ার্টারে এমন কোনোকিছু নেই যা মনোরঞ্জন করে না। প্রতি বছরের মে মোসের ১০তারিখে তাদের বার্ষিক দিবস পালন করা হয়, যার নাম `অ্যালিডে‘। আলীবাবা তাদের সমস্ত টিমওয়ার্ক প্রদর্শন করে এদিন।

আলীবাবা তার কাজের পরিবেশে মোটেই ফরমালিটি রাখেনা। এমনকি সব কর্মীরই এখানে একটা নিকনেম ও আছে! এ নিয়ে কোনো অভিযোগ বা বিবাদে জড়াতে চায়না।

ছয়টি বিষয়

আলীবাবা তার কোম্পানি মূলমন্ত্রে ছয়টি বিষয়কে প্রধান্য দেয় যার নাম ‘সিক্স ভেইন স্পিরিট সোর্ড’। ছয়টি বিষয় হলো, কর্মী প্রাধান্য, টিমওয়ার্ক, পরিবর্তন, সততা, আগ্রহ এবং প্রতিশ্রুতি।

আলীবাবা শুরু থেকেই পুরো টিমওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে, সমতায় বিশ্বাস করে। যে কারণেই চীনের ও বিশ্বের অন্যসব প্রতিযোগীর চেয়ে ভিন্ন আলীবাবা। বাংলা ইনসাইডার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়