শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০৫ দুপুর
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যশোরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে জড়ালেন মুক্তিযোদ্ধারা (ভিডিও)

 মশিউর রহমান : যশোরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের টাউন হল ময়দানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে সাবেক কমান্ডার মুযহারুল ইসলাম মন্টু এবং বর্তমান কমান্ডার রাজেক আহমেদের অনুসারিদের মধ্যে বিগত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।

পরে জেলা প্রশাসক তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের টাউন হল রওশন আলী মঞ্চে জেলা প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

অনুষ্ঠান মঞ্চে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজেক আহমেদকে ডাকা হয়। এ সময় রাজেক বিরোধী মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন স্লোগান ও বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে তারা মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকেন। টেবিল আছড়ে ভেঙে ফেলেন।

এক পর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জেলা প্রশাসক মাইকে ঘোষণা দেন শান্ত হওয়ার জন্য। কিন্তু, মুযাহারুল ইসলাম মন্টুর অনুসারিরা আরো চড়াও হন।

পরে বিক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে মুযহারুল ইসলাম মন্টু এবং রবিউল আলম মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। মঞ্চে জেলা প্রশাসক মাইকে আগামী তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন। তার আশ্বাসের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রবিউল আলম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক সরকারের প্রতিনিধি। তিনি এমন বিতর্কিত হবেন, আমরা কখনো কল্পনা করিনি। সরকারের সুস্পষ্ট আদেশ সত্ত্বেও তিনি কেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব নিচ্ছেন না, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি বিষয়টি পরিষ্কার করলে ভাল হবে। তা না হলে ক্ষোভ আরো বাড়বে। ডিসি সাহেব কি চান, সেটি পরিষ্কার করতে হবে।’

বর্তমান কমান্ডার রাজেক আহমেদ বলেন, ‘আইনগত কারণে ৬৮টি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব হস্তান্তর হয়নি। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কমান্ডারের দায়িত্বে আমি আছি।’

বিক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের জবাবে জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে অনেকে জেলায় সংসদের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে। আবার অনেক জায়গায় দায়িত্ব হস্তান্তর করেনি। আমি মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য লিখেছিলাম। আশা করছি, আগামী তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ফয়সালা হয়ে যাবে। আপনারা ধৈর্য্য ধরুন।’

উল্লেখ্য, যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও বর্তমান পরিষদ ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করছে। সাবেক কমান্ডার মুযহারুল ইসলাম মন্টুর নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ বারবার বর্তমান পরিষদের ক্ষমতা হস্তান্তরের তাগিদ দিলেও সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমতা গ্রহণের দাবি জানানো হলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়