শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:৪৯ সকাল
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একজন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিকের বিদায়

হুমায়ুন আইয়ুব: ‘চট্টলার বীর’ খ্যাত প্রবীণ রাজনীতিবিদ মহিউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর আরেকটি শোক সংবাদ শুনতে হলো জাতিকে। আজ ঢাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছেন দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এমপি। ইনলালিল্লহি ওয়া ইন্না ইলাইহ রাজিউন। আজ সকাল ৮.৩৯ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মহান স্বাধীনতা দিবসে এমন দুটি সংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলো না জাতি। দু’জনই ছিলেন মহা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মহান বীর।

দেশের বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সৈনিক ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলাধীন পূর্বভাগ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জনগ্রহণ করেন।
তার মাতা মরহুমা মেহের চান্দ বিবি ও পিতা মরহুম আলহাজ মোহাম্মদ সুন্দর আলী। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন।

এছাড়া, তিনি আইন বিষয়ে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দীর্ঘদিন আইন পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন ও বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের এ্যাডভোকেট হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

মোহাম্মদ ছায়েদুল হক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬৫ থেকে ৬৬ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।

১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি স্বাধীনতা-আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর থেকে আজীবন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতি করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের ত্রিপুরায় অবস্থিত লেম্বুছড়া প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের ওপর প্রশিক্ষণ নেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সজ্জন রাজনৈতিক হিসেবে তিনি ছিলেন তুমুল জনপ্রিয়। নিজ এলাকা থেকে তিনি ৫ বার সাংসদ নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর একাধারে ৭ম থেকে ১০ম সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে নির্বাচিত হন।

প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ ৭ম ও ৯ম সংসদে তিনি খাদ্য ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বাণিজ্য, অর্থ, সরকারি তহবিল ও বিশেষ বিষয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১০ম জাতীয় সংসদে ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন।

মন্ত্রী ছায়েদুল হক ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। এলাকার শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন নাসিরনগর ডিগ্রি কলেজ, চাতালপাড় ডিগ্রি কলেজ ও চাতালপাড় উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
মন্ত্রী হওয়ার পর নিজ মন্ত্রণালয়ের ঈর্ষণীয় সাফল্য বয়ে আনেন তিনি। তার সময়ে বাংলাদেশ ছাগল উৎপাদনে বিশ্বের ৪র্থ স্থান অর্জন করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়