ফারমিনা তাসলিম: বিজয় দিবসে মুক্তি পেয়েছে যুদ্ধভিত্তিক গেম ’মুক্তিক্যাম্প’। এতে তুলে ধরা হয়েছে গেরিলা যোদ্ধাদের হাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের বিভিন্ন চিত্র। উদ্যোক্তারা বলেছেন, দেশে গেমসের বড় বাজার থাকলেও রয়েছে দক্ষ লোকবল সংকট। এছাড়া সরাসরি বিলিং পদ্ধতি না থাকায় তারা লাভবান হচ্ছেন না।
১৯৭১ সালে সারা দেশে পাকিস্তানি হানাদারবিরোধী লড়াই। যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। পুরো যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর মূল আতঙ্ক ছিল গেরিলা যোদ্ধারা।
দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে মোকাবিলার সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিক্যাম্পে। দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিয়ে গেম তৈরিতে আগ্রহ উদ্যোক্তাদের।
এনিমেটর নির্মাতা রিহাব উদ্দিন শাওন বলেন, এনিমেশেনের মাধ্যমে আমরা ক্যামেরা মুভমেন্টগুলো দেখায়। এগুলোর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইমোশনগুলো ফুটিয়ে তুলতে পারি। ম্যাসেজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতাগুলো বেশি শেয়ার করা হয়।
গেইমস ডেভেলপার আরিফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে গেমস তৈরি করছি।
বর্তমানে বাজার দখলে করে আছে বিদেশি গেমস। উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারি সহায়তা পেলে দেশেই তৈরি হবে বিশ্বমানের ভিডিও গেমস।
মাইল্ডফিশারের প্রধান নির্বাহী জামিলুর রশীদ বলেন, মাল্টিপ্লেয়ার জোনের ডিমান্ডটা একটু বেশি। যেটার মাধ্যমে আমরা ডাইরেক্ট ক্যারিয়ার বিল্ডআপ করতে পারি।
ম্যাসিভ স্টারের প্রধান নির্বাহী মাহবুব আলম বলেন, সরকার এখন যে মনযোগটা দিচ্ছে সেটা শুধুমাত্র মোবাইল গেমসে দিচ্ছে। শুধুমাত্র মোবাইল গেইমস দিয়ে মোবাইল প্রতিষ্ঠান চলবে না। আমাদের পয়েন্টটা হলো ইনডিপেনডেন্ট প্ল্যাটফর্মের জন্য গেইম আসতে হবে।
গতবছর তৈরি হয়েছে হিরোজ অব সেভেন্টি ওয়ান, হিরোজ অব সেভেন্টি ওয়ান রিটেলিয়েশন ও ম্যাসিভ যুদ্ধ-৭১ নামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক গেমস।
সূত্র - ইনডিপেনডেন্ট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :