হ্যাপী আক্তার: বিলুপ্ত প্রায় কুচিয়া মাছ, টিকিয়ে রাখতে কুচিয়ার পোনা উৎপাদন ও চাষ হচ্ছে বগুড়ায়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে জেলায় এ মাছ চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বগুড়ার পাশাপাশি ময়মনসিংহ ও শেরপুরেও কুচিয়া চাষ হচ্ছে। যা কিনা রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। সূত্র: ডিবিসি নিউজ
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বগুড়া আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার প্লাবনভূমি উপ-কেন্দ্রে উৎপাদন হচ্ছে কুচিয়ার পোনা। বাণিজ্যিকভাবে কুচিয়া প্রজাতির খাদ্য, খাদ্যাভ্যাস বিশ্লেষণ এবং কৃত্রিম প্রজনন প্রকল্পের আওতায় এনে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কুচিয়ার ব্যাপক চাহিদা থাকায় ময়মনসিংহ, শেরপুরের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রজননক্ষম মা কুচিয়া সংগ্রহ করে রপ্তানি করা হয়।
সান্তাহার প্লাবনভূমি উপ-কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সোনিয়া শারমীন বলেন, কুচিয়ার চাহিদা বেশি থাকার কারণে সরকারের নির্দেশে কুচিয়ার উৎপাদনের কাজটি হাতে নেয়া হয়।
এ জেলা থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ টন কুচিয়া রপ্তানি হচ্ছে। চাষ প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হলেও বিরল প্রজাতির এ মাছ চাষে সম্ভাবনাও অনেক।
সান্তাহার প্লাবনভূমি উপ-কেন্দ্রে প্রধান ড. ডেভিড রিন্টু দাস বলেন, প্রাকৃতিক জায়গা থেকে কুচিয়া সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেশের বাইরে প্রচুর চাহিদা থাকায় চাষ কুচিয়া রপ্তানী করে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে একটি কুচিয়ার সর্বোচ্চ ওজন হয়ে থাকে ১ হাজার গ্রাম। সেখানে দেশীয় কুচিয়ার ওজন হয় সাধারণত ৩০০ থেকে ২ হাজার গ্রাম পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :