শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:৫৩ সকাল
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দেশ

নাফরুল হাসান: অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন শুরু হয়েছিল ৬৬’র ছয় দফার মধ্য দিয়েই । ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছে স্বধীনতা।স্বাধীনতার এই ৪৬ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে ধরা হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দেশ বাংলাদেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিটি মানুষের দুয়ারে অর্থনীতির সুবাতাস পৌঁছতে হলে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে কমাতে হবে বৈষম্য।

অজো পাড়া গা বলতে যা বোঝায় তেমন একটি তৃণমূল সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কলবাড়ি গ্রাম। একসময় সুন্দরবনের ওপরই জীবিকার নির্ভরতা থাকলেও এখন এখানকার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে মাছের ঘের আর ছোট মাঝারি ব্যবসা। অন্য ফসলের আবাদ কম তবে খেয়ে পড়ে ভালো আছেন বেশিরভাগ মানুষ। গ্রামের রাস্তাঘাট বেশিরভাগ পাকা। আছে দু একটি কাঁচা রাস্তাও। জীবিকার তাগিদে কেউ কেউ পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে আবার কেউ শহরে। গ্রামীণ উন্নয়নে বলা যায় এক টুকরো বাংলাদেশের উদাহরণ।

কলবাড়ি গ্রামের  বয়জ্যোষ্ঠোরা বলেন, গরীব মানুষ আমরা গরীবই আছি। আর যারা সচ্ছল তারা ঘের করে তারা ভাল আছে। বিভিন্ন মানুষের কাজ কর্ম আছে এখন আগে তো এত কাজ ছিল না।

এদিকে শহরে গাদাগাদা অফিস, ব্যাংক, শিল্পকারখানা, প্রতিদিন ছুটছে মানুষ। সাড়ে সাত কোটির বাংলাদেশ যে এখন ১৬ কোটিতে পরিণত হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। এখানকার অর্থনীতির হিসেব একটু জটিল, আর বৈচিত্র্যময়। কৃষির নির্ভরতা কমিয়ে এখন দেশ এগুচ্ছে শিল্প আর সেবা খাতের ওপর ভর করে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে 'তলা বিহীন ঝুড়ির' তকমা আটা বাংলাদেশ যে শূন্যের কোটায় বসে থাকেনি পরিসংখ্যানেই তার প্রমাণ। এ সর্ম্পকে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাতলুব আহমেদ বলেন, ‘কৃষি শিল্প থেকে বিশাল শিল্প এসএমই সব করতে হবে।’

১৯৭১ এ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আর ৭০ শতাংশ দারিদ্রের বোঝা নিয়ে পথ চলা শুরু বাংলাদেশের। এমন দৈন্যদশা ঘুচিয়ে এখন প্রবৃদ্ধির চাকা ঘুরছে ৭ শতাংশের ওপরে আর দারিদ্র নেমে এসেছে ২৪. ৩ শতাংশে। বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা, দারিদ্র-২৪.৩, রিজার্ভ-প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি-৭.২৮ শতাংশ, মাথাপিছু আয়-১৬১০, প্রবাসী কর্মী-১ কোটির বেশি, রফতানি- ৩৪ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ প্রায় সব সূচকে আগেই পেছনে ফেলেছে ৪৬ বছর আগের আগ্রাসী দৈত্য পাকিস্তানকে, এখন এগিয়ে যাওয়া মধ্যম আয় ও উন্নত দেশের দিকে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ হয়নি এখনো আর তাই লাগামটানা যাচ্ছেনা বেকারত্বের দীর্ঘ লাইনের।’

এ সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আরো বেশি উৎপাদন করতে হবে এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে হবে।’

অর্থনীতিবিদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘৫ কোটি লোক আছে ১৫ থেকে ৩০ বছরের। তাদের জন্যে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে।’

এদিকে আগামীর বাংলাদেশের জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী ও এসডিজি বাস্তবায়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির ভিত আরো মজবুত করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। ৪৬ বছর আগে অর্থনৈতিক মুক্তির যে সনদ নিয়ে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জনে গোটা বিশ্ব এখন বিস্ময় প্রকাশ করছে। তবে এখনো অর্জন করা যায়নি ক্ষুদা দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশের। তাই এই বাংলাদেশকে অর্জন করতে হলে প্রবৃদ্ধির ধারাকে রাখতে হবে অব্যাহত আর কমাতে হবে বৈষম্য এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র : সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়