শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৩ সকাল
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পিতারা ভাবুক, মায়েরা মুক্তি পাক

ফাহমি ইলা : আমার বন্ধু রাশিদা একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। মাস্টার্সে পড়াকালীন সময়ে পরিবার থেকে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হলে বিয়ে করে ফেলেন তখনই। বিয়ের পর চাকরিতে ঢুকতে তেমন বেগ পেতে হয় নি। কিন্তু বছর ঘুরে যখন সন্তান এলো তখন রাশিদা নিত্যনৈমিত্তিক বাধা পেতে থাকলেন। ‘মা চাকরি করলে সন্তান মানুষ হয় না’, ‘তোমার কামাইয়ের টাকা আমাদের না খেলেও চলবে’, ‘মা হয়ে বাচ্চার চাহিদা বুঝো না?’ এমন বহু বহু বাক্যবাণে জর্জরিত হয়ে অবশেষে রাশিদা চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। সন্তানের বয়স যখন চার তখন তিনি আবার চাকরিতে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু চাকরিতে ঢুকে দেখেন সমবয়সীদের চেয়ে কতটা পিছিয়ে গেছেন তিনি।

আমার আরেকজন বন্ধুর কথা বলতে চাই। শীলা বর্তমানে একটি এনজিওতে কর্মরত আছেন। ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে সন্তান নিয়েছিলেন একটু দেরীতে। কিন্তু সন্তান নেবার পর থেকে পরিবারের সাথে কলহ লেগে আছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে স্বামীর সাথে সম্পর্ক শীতল হয়েছে। সন্তান মানুষ করার দায়িত্ব শীলার- এটা তার পরিবার খুব ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে অফিসে গিয়ে বসতে না বসতে ফোন আসবে, মিটিংয়ের মাঝে ফোন আসবে। শীলা বলছিলেন-‘বাচ্চা কাঁদলেও আমাকে ফোন করে জানানো হত। যেনো আমি আত্মদহনে ভুগি, যেনো আমার কারণেই বাচ্চা কাঁদছে। এটা স্পষ্ট মানসিক টর্চার করবার জন্য।‘

শীলার সন্তানটিকে দেখে প্রতিবেশি নাকি বলেছিলেন-‘বাচ্চা শুকিয়ে যাচ্ছে কেনো?’ শীলার শ্বাশুড়ি সাথে সাথে বলেছিলেন-‘ক্যারিয়ারিস্টিক মায়ের বাচ্চা শুকিয়ে গেছে, মরে যে যায়নি তাইতো বাচ্চার কপাল।‘অবশেষে শীলা বাচ্চাকে ডে-কেয়ার সেন্টারে রাখা শুরু করেন। তাতে হয়েছে ডাবল বিপদ। অফিস শেষে বাচ্চাকে আনা, সকালে দিয়ে আসা, খোঁজখবর নেয়া সবকিছুই তাকে একা করতে হয়। এক এক সময় শীলার মনে হতে থাকে-‘আমি আত্মহত্যা করছি না শুধু বাচ্চাটার কথা চিন্তা করে।’

সন্তান- প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে আকাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। মোটাদাগে মানুষ মানবসভ্যতা টিকিয়ে রাখতে সন্তান জন্ম দেয়। চিকনদাগে বললে নিজের ঔরস বা গর্ভজাত সন্তান হচ্ছে বংশরক্ষার হাতিয়ার। ছেলে হলে বাবার বংশ রক্ষা করবে আর মেয়ে হলে স্বামীর বংশ- দুনিয়ার নিয়ম নাকী এই! যদিও এখনো এদেশসহ বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় কিছু মাতৃতান্ত্রিক গোষ্ঠী দৃষ্টিগোচর আছে। সেসব আলোচনাকে একপাশে রেখে আপাতত একটু অন্য আলোচনা করি।

সন্তান সে যেই বংশই রক্ষা করুক না কেনো জন্মের পর তার লালন-পালনের দায়িত্ব কিন্তু মায়ের কিংবা পরিবারের অন্যান্য নারীসদস্যের। সচেতন পুরুষ (বাবা/চাচা/মামা/দাদা/নানাসহ আর অনেকে) ক্ষেত্রবিশেষে এ দায়িত্ব পালন করেন বৈকি, অস্বীকার করলে মিথ্যে বলা হবে। কিন্তু এটাই মনে করা হয় যে যেসকল পুরুষ এ দায়িত্বের সাথে নিজেকে জড়ান তিনি সচেতন, প্রগতিশীল। অন্যদিকে নারী এই লালন-পালন পদ্ধতির সাথে জড়িত থাকবে এটাই যেনো প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক। এখানে কোন সচেতনতা বা প্রগতিশীলতার ব্যাপার নেই, অন্তত মুখ ফুটে বলার কিছু নেই আর কী! কিন্তু সন্তান লালন-পালন প্রক্রিয়া কতটুকু প্রাকৃতিক?

সন্তান গর্ভে ধারণ করা প্রাকৃতিক, সন্তান জন্মদান প্রাকৃতিক, বুকের দুধ পান করানো প্রাকৃতিক—এটুকু পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানো, তার হাগুমুতু পরিস্কার করা, তাকে গোসল করানো, খাওয়ানো, কথা শেখানো, হাঁটা-চলা সহ সামাজিক কাজ শেখানো, অক্ষর চেনানো সহ যাবতীয় কাজ কি জন্মদানের মত কিংবা বুকের দুধ খাওয়ানোর মত নারীর জন্য প্রাকৃতিক কাজ? নাকি এগুলো যে কেউ করতে পারে? এই কথাগুলো বললে অনেকে তেড়েফুঁড়ে আসবেন আমার দিকে। এ ব্যাপারে সজাগ হয়েই লিখতে বসেছি।

এদেশে যখন যৌথ পরিবার ছিলো তখন সন্তান মা বাদেও আরো অনেকের কাছে বেড়ে উঠতো। আমি নিজে বেড়ে উঠেছি আমার বড়খালার কাছে। একক পরিবারে সে সুযোগ নেই। ফলে ‘মা’বিশেষণের নারীটির বাচ্চা লালন-পালন করতে হয় একাই। তার ওপর যদি হয় সে ‘কর্মজীবি মা’? চারমাস বা ছয়মাস ম্যাটারনিটি লিভ কাটিয়ে যখন কর্মক্ষেত্রে ছুটছেন তখন শরীর থাকে অফিসে, মন থাকে ছয়মাসের সন্তানটির কাছে।

কেননা তাকে একিসাথে তখন একজন ‘ভালো মা’হবার যুদ্ধেও লড়তে হয়, কেননা তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়- ‘চাকরি করবা ভালো কথা, বাচ্চা পালার কথা ভুলে যেও না। বাচ্চা যার কাছেই থাকুক না কেনো, ওটা মায়েরই চিন্তা।’ ‘ভালো বাবা’হতে গেলে আর যাই হোক চব্বিশ ঘণ্টার বাচ্চা পালনের দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয় না। কিন্তু ‘ভালো মা’সে কর্মজীবি বা গৃহিণী হোক তাকে সন্তানের প্রতি টুয়েন্টি ফোর আওয়ার মনোযোগ দেয়া বাঞ্ছনীয়। এটাও কী প্রাকৃতিক? নাকি সমাজের চাপিয়ে দেয়া ব্যবস্থা?

একজন ‘কর্মজীবি মা’কে ‘ভালো মা’হবার জন্য সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়া অবধি টেনশনে থাকতে হয়। আচ্ছা, ভালো মা হবার দরকার নেই, শুধু মা হতে গেলেও তাকে কি খাটতে হয় না? আর ভালো মা থেকে খারাপ মা, ভালো নারী থেকে খারাপ নারী মানে নারীকে ভালো তকমা থেকে খারাপের তকমায় নামিয়ে আনাটা খুব সোজা, প্রবাদের ভাষায় বললে ‘এক তুড়ির ব্যাপার’।

সোজা কথায় যা বোঝাতে চাইছি, পুঁজিবাদ কর্মজীবি নারীকে নারী ক্ষমতায়ন, আত্মনির্ভরশীলতার নাম করে অর্থনীতির সাথে যুক্ত করবার জন্য ঘরের বাইরে টেনে নিয়ে এসেছে ঠিকই কিন্তু তাকে সাংসারিক কাজ কিংবা সন্তান লালন পালনের একপেশে দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেয়নি একটু। ফলে কর্মজীবি মাকে মা হবার সাথে সাথে ভালো মা হবার জন্য লড়তে হয়, অন্যদিকে ‘খারাপ মা/ অযোগ্য মা’খেতাব পেতে হয় লালন পালনে একটু ঘাটতি হলে। কর্মজীবি নারীদের চাকরি এবং সংসার –সন্তানের এই বিশাল দায়িত্বের বোঝা লাঘব কী জরুরী? ভাবুন, ভাবা প্র্যাক্টিস করুন।

সন্তান জন্মের পর সরকারীভাবে তার জন্মনিবন্ধন করা হয়, আঠারো বছর বয়স হলে সে ভোটার হয় মানে দেশের বৈধ নাগরিক হয় জন্মের পরই। আর জন্মের আগে থেকেতো সে বাবার বংশের বৈধ নাগরিক হয়েই বসে থাকে। মেয়েসন্তান হলে বিয়ের পর স্বামীর বংশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে! এমনকি সে যখন বেড়ে উঠছে তখন সে এই সমাজের এই দেশের একজন যোগ্য মানুষ হয়ে বেড়ে উঠছে।

অথচ যেই নারীটি ন’মাস গর্ভে ধারণ করছেন, নিজের জীবন বাজি রেখে জন্ম দিচ্ছেন তিনি শুধুমাত্র জন্মদানের প্রাকৃতিক যন্ত্র হয়ে থাকেন, সন্তানের পরিচয়ে তার কোন ভূমিকা নেই! জন্ম দিচ্ছেন তিনি, লালনপালনও করতে হচ্ছে তাকে কিন্তু সকল পরিচয় এবং গৌরবের ধারক বাহক পিতা! এজন্যই বোধকরি সন্তান ভালো কাজ করলে বাপের গৌরব আর খারাপ কাজ করলে মায়ের পাপ!

একসময় ছিলো যখন মায়েরা ঘরে থাকতেন, সংসার করতেন, বাইরের কাজ বলতে মাঠেও কাজ করতেন। কিন্তু যখন অর্থনীতির সাথে মায়েরা সংযুক্ত হলেন তখনও কি সাংসারিক কাজ এবং সন্তান লালনপালনের প্রক্রিয়া এক থাকা উচিত? গৃহিনী নারীটির ওপর যে দায়িত্বের বোঝা তা কর্মজীবি নারীর ওপর ডাবল ভারে চেপে বসেছে। এ থেকে মুক্তি অবশ্যই জরুরী! কিভাবে সম্ভব?

০১.
হে রাষ্ট্র, তুমি আমাদের সন্তানদের দায়িত্ব নাও। সন্তান জন্মের পর সে তোমার বৈধ নাগরিক হয়ে যাচ্ছে, তোমার জন্য বড় হচ্ছে, তোমার জন্য কাজ করছে, তোমাকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করছে অথচ তুমি মায়েদের ওপর লালন পালনের দায়িত্ব একলা দিয়ে রেখেছো। যদিও আমরাও তোমার নাগরিক কিন্তু তোমার সংবিধানে কি বলা আছে এটি শুধুই আমাদের কাজ?

বিশ্বের বহু উন্নত দেশে ডে-কেয়ার সেন্টার চালু আছে, সরকারীভাবে একটি শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য সবরকম ব্যবস্থা চালু আছে। তোমার ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সীমানায় যেসকল ‘শিশু পরিচর্যাকেন্দ্র’আছে সেগুলোর দিকে তাকালেই বুঝবে এগুলো ধনী বিত্তশালীদের জন্য।

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এ ব্যয় বহন করা অসাধ্য। বরং তুমি দেশের প্রতিটা পাড়ায় পাড়ায় ‘শিশু-পালন কেন্দ্র’গড়ে দাও। যেখানে শিশুটি বেড়ে উঠবে আরো দশটি শিশুর সাথে শ্রেণীহীন চেতনা নিয়ে, যেখানে শিশুটি যোগ্য শিক্ষিত মানুষ দ্বারা পরিচালিত হবে, শিক্ষিত হবে।

সোভিয়েত ইউনিয়নে আজ থেকে একশ বছর আগেই মায়েদের দায়িত্বের ভার লাঘবের জন্য ‘শিশুপরিচর্যা কেন্দ্র’গড়ে উঠেছিলো, সারা দেশের জালের মত বিছিয়ে দেয়া হয়েছিলো শিশুপরিচর্যা কেন্দ্র। তুমি আমাদের দায়িত্বের বোঝা হালকা করো হে রাষ্ট্র!

০২.
হে সন্তানের পিতারা, আপনারা এগিয়ে আসুন হাত বাড়িয়ে। যে সন্তান ভ্রূণ থাকতেই কিংবা আরো আগ থেকেই আপনার পরিচয় বহন করবে বলে ঠিক করে রেখেছেন, যে সন্তানটি আপনার বংশের ধারক-বাহক, যে সন্তানটি আপনার শুক্রাণু ছাড়া কোনদিন জন্ম নিতে পারতো না সেই সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব আপনারও। সন্তানের সকল শৌর্য, পরিচয় নিজের ভাগে লুটে নেবেন আর লালন পালন করে দেবে নারী-এ বড় অন্যায়!

নারীর ডিম্বাণু ছাড়া, গর্ভ ছাড়া কিভাবে আপনার বংশের ধারক জন্ম নিত? আর দুজন মিলেই যখন সমান প্রাকৃতিক যোগ্যতায় একটি মানবশিশুকে পৃথিবীতে আনছেন তখন কেনো তাকে আপনার একার সম্পদ উত্তরাধিকার বানিয়ে নিচ্ছেন? এ তো দুজনের শ্রম ও ভালোবাসার ফসল! দুজনের পরিচয়েই শিশুটি পরিচিতি পাক, দুজনই লালনপালনের দায়িত্ব নিন সমানভাবে। মগজ থেকে পিতৃতান্ত্রিক চিন্তা একটু একটু করে মুছে ফেলুন।

আপনার পূর্বপুরুষ যেমন খুনি ডাকাত খারাপ থাকলে আপনাকেও খারাপ হতে হবে না, আপনি ভালো মানুষ হবার চেষ্টা করবেন তেমনি আপনার পূর্বপুরুষ উগ্র পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার ছিলো বলে আপনাকেও এই নেতিবাচক একপেশে তন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনিতো সভ্যতার উন্নতির একটি জ্বলন্ত উদাহরণ! নারী-পুরুষের সাম্যবাদে এগিয়ে আসুন, কেননা সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে দুপক্ষকেই বাধ্যতামূলকভাবে এটা পালন করা প্রয়োজন।

০৩.
হে অসহায় নারী, নিজেকে আত্মনির্ভরশীল স্বাধীন মানুষ হিসেবে দেখবার লড়াইয়ে সামিল হয়েছো। তোমাদের এ সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরী। তোমাদের সচেতনতা, সেই সচেতনতা দ্বারা অধস্তনতা থেকে মুক্তির ইচ্ছা, সেই মুক্তির ইচ্ছা থেকে প্রতিবাদ করবার মানসিকতা, সর্বশেষে সে মানসিকতা থেকে চিৎকার করে ওঠো- ‘আমি মা, তুমি বাবা। এসো দুজন মিলে সন্তান লালন করি’; ‘সন্তান লালন-পালন আমার একার দায়িত্ব নয়’; ‘আমার সন্তান রাষ্ট্রের নাগরিক, সন্তানের দায়িত্ব রাষ্ট্রেরও’; ‘আমি মা কিন্তু একক অভিভাবক নই, অভিভাবক বাবাটিও’‘সন্তান দুজনের ফসল। বাবার পরিচয় নয় দুজনের পরিচয়ে বড় হোক’। এরকম বহু বহু স্বর তোলা জরুরী তোমাদের জন্য। জাগো নারী জাগো।

আমাদের নারীরা মুক্তি পাক পিতৃতন্ত্রের বেড়াজাল থেকে। আমাদের মায়েরা মুক্তি পাক অনাহুত ভার থেকে। সিস্টেমটা একটু এদিক সেদিক পরিবর্তন পরিমার্জন করে নিলে কোন ক্ষতি নেই, লাভ আছে বরং। খালিচোখে এ লাভ শুধু নারীর মনে হলেও এ লাভ গোটা সমাজের। কেননা নারীটি সমাজের অংশ; তার উন্নতি সমাজের উন্নতি, রাষ্ট্রের উন্নতি। তার মুক্তি সমাজেরই মুক্তি, রাষ্ট্রের মুক্তি।

ফাহমি ইলা : উন্নয়নকর্মী, কলাম লেখক।
[email protected]। পরিবর্তন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়