শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৩৮ সকাল
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্যান্সারের চিকিৎসায়ও কাউকে বিদেশ যেতে হবে না : ডা. এ এম শামীম

ডেস্ক রিপোর্ট : ডা. এ এম শামীম, ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। হূদরোগের চিকিৎসায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ কার্ডিয়াক হাসপাতালের পর উদ্যোগ নিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের। ডা. এ এম শামীমের স্বপ্ন, ক্যান্সার চিকিৎসায়ও আগামীতে কাউকে যেন বিদেশে যেতে না হয়। এসব নিয়ে কথা বলেছেন ।

প্রশ্ন : কার্ডিয়াকের পর এবার পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছেন...

নব্বইয়ের দশকেও দেখতাম, দেশে একজন মানুষের হার্টের সমস্যা হলে তাকে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হতো। এক জায়গায় তিনি সব সেবা পেতেন না। কিন্তু ২০০৪ সালে আমরা প্রথম পূর্ণাঙ্গ কার্ডিয়াক হাসপাতালটি করার পর একই ছাদের নিচে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স, ওষুধ, আধুনিক যন্ত্রপাতি, ভালো ডায়াগনসিস, কমপ্লায়েন্স ও আন্তরিক সেবা পান রোগীরা। মানুষ আন্তর্জাতিক মানের যে চিকিৎসাটা চান, সেটি এখানে পান। এতে মানুষের মধ্যে একটি আস্থা তৈরি হয়। এখন কিন্তু সাধারণ মানুষ হূদরোগের চিকিৎসার জন্য বাইরে যান না। যারা যান, আমি মনে করি, তারা একটি সেকেন্ড অপিনিয়নের জন্যই যাচ্ছেন। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলি দেশে হূদরোগের চিকিৎসা উন্নত হয়েছে। এখন কাউকে এজন্য বিদেশ যেতে হবে না।

কিন্তু এ আত্মবিশ্বাস আমরা ক্যান্সার চিকিৎসায় দেখাতে পারছি না। এখনো আমরা অনেক পিছিয়ে। ক্যান্সার নিয়ে আমার ভাবনাচিন্তা অনেক দিনের। ১২-১৩ বছর ধরে আমরা লক্ষ করছি, একজন মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসা, ইনভেস্টিগেশন, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে হয়। চিকিৎসার সক্ষমতা নিয়েও হতাশা আছে। আমি আশা করি, আমাদের পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতালটি ওয়ান স্টপ সার্ভিসের পাশাপাশি বিশ্বমানের টেকনিক্যাল সক্ষমতাও নিশ্চিত করবে।

প্রশ্ন : দেশের স্পেশালাইজড হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা কি সত্যিই আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে?

ল্যাবএইড কার্ডিয়াকেই তো হয়েছে। ক্যান্সারেও সম্ভব। দেখুন, মানের জন্য কী দরকার? চিকিৎসকদের পেশাগত যোগ্যতা-দক্ষতা, মানসম্মত ইনভেস্টিগেশন, ডায়াগনসিস, নার্সিং ও হসপিটালিটি। প্রশিক্ষণ কর্মশালা, আন্তর্জাতিক সম্মেলন, এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিংসহ নানা উপায়ে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের চিকিৎসকরা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমাদের টেস্ট ও অন্যান্য সুবিধা বিশ্বমানের। আন্তর্জাতিক সংযুক্তির জন্য একসময় আমরা চিকিৎসকদের বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠাতাম। এখন চেষ্টা করি, রিসোর্স পারসনদের দেশে নিয়ে আসার। তাহলে দুজন বিশেষজ্ঞর কাছ থেকে আমাদের ২০-৩০ জন চিকিৎসক শিখতে পারেন। আগে উল্টোটা হতো। এবারো আমরা রাজধানীতে আন্তর্জাতিক কার্ডিয়াক সম্মেলন করছি। বিশ্বের নামিদামি কার্ডিয়াক এক্সপার্টরা এখানে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এগুলো নলেজ ও টেকনোলজি ট্রান্সফার করছে।

ক্যান্সার চিকিৎসায়ও আমাদের চিকিৎসকরা ভালো করছেন। তবে এখনো এটিকে বিশ্বমানের বলা যাবে না। গত ১৫-২০ বছরে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক প্রশিক্ষিত চিকিৎসক তৈরি হয়েছে। কিন্তু সুযোগের অভাবে তারা এক জায়গায় বসে চিকিৎসা দিতে পারছেন না। অভাব রয়েছে অন্যান্য সাপোর্টেরও।

সক্ষমতার একটি উদাহরণ দিই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন হয়। লিম্ফোমা, লিউকেমিয়া অর্থাৎ ব্লাড রিলেটেড ক্যান্সারের ফাইনাল চিকিৎসা কিন্তু বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে করা হয়। ভারতে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করতে গেলে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়, ব্যাংককে ৫০ লাখ এবং সিঙ্গাপুরে প্রায় কোটি টাকা। এ কাজটিই ঢাকায় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মাত্র ৩ থেকে ৬ লাখ টাকায় সম্পন্ন হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে এখন পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০টা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন হয়েছে। তাদের সফলতার হার প্রায় ৯৬ শতাংশ।

প্রশ্ন : বেসরকারি হাসপাতালে এজন্য কেমন খরচ হবে?

আমরা হিসাব করে দেখেছি, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে প্রাইভেট সেক্টরে খরচ পড়বে ১০ লাখ টাকা। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ২৪ থেকে ২৫ হাজার মানুষের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন। অন্যথায় তারা দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে মারা যাবে। এ রোগীদের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে সক্ষম। অর্থাৎ আমাদের রোগী আছে, এখন শুধু ফ্যাসিলিটিটা দরকার।

এটি শুধু ব্লাড ক্যান্সারের কথা। পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতালে অন্যান্য ক্যান্সারের চিকিৎসাও হবে।

প্রশ্ন : চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা অনেক, বিশেষ করে বেসরকারি খাতে। এটি কমিয়ে আনার সুযোগ কতটা?

সরকার তার উন্নয়ন বাজেট থেকে হাসপাতালের স্থাপনা করে, রাজস্ব থেকে চিকিৎসক ও অন্য কর্মীদের বেতন-ভাতা দেয়। তাদের শুধু ভেরিয়েবল কস্টটুকু তুলে আনতে পারলেই হয়। অন্যদিকে বেসরকারি উদ্যোগে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হলে উদ্যোক্তাদের ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিতে হয়। স্থাপনা, যন্ত্রপাতি, লোকবলসহ সব কিছুর মান ধরে রাখতে ব্যয় করতে হয়। এর খরচ মিটিয়ে ব্যাংকের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়। তারপর কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্যও একটি ন্যায্য রিটার্ন নিশ্চিত করতে হয়। এর একটিতেও ছাড় দেয়া যায় না। যেখানেই আপনি ছাড় দেবেন, সেখানেই সমস্যা হবে। যেমন— ফিক্সড কস্ট কমাতে গেলে ফ্যাসিলিটি নিশ্চিত করা যাবে না। আবার পরিচালন ব্যয় কমাতে গিয়ে সেরা সেবাতে ছাড় দেয়াও সম্ভব নয়। ব্যাংক তার টাকা নেবেই। বিনিয়োগকারীর রিটার্ন না থাকলে বেসরকারি খাতে কেউ আর স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ করবে না।

আমি মনে করি, বেসরকারি খাতের সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের চেয়ে কস্ট এফিশিয়েন্ট। একটি উদাহরণ দিই, ঢাকায় সরকারি হাসপাতালে এমআরআই করতে খরচ নেয়া হয় ৩-৪ হাজার টাকা। হিসাব করে দেখা গেছে, এখানে সরকারের প্রকৃত খরচ ১৫ হাজার টাকার বেশি। ল্যাবএইডে আমরা এটি ৭-৮ হাজার টাকার মধ্যে বাণিজ্যিকভাবেই সম্পন্ন করি।

একটি রিয়েলিস্টিক খরচে জনগণকে সেরা স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য সরকার ভালো প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সঙ্গে পিপিপি প্রজেক্ট নিতে পারে, যার আওতায় আমরা মুনাফায় ছাড় দিয়ে এমআরআই ৫ হাজার টাকার মধ্যে করে দিতে পারি। কারণ তখন ইকোনমি অব স্কেল আমাদের খরচ কমিয়ে আনবে। বিপণন ব্যয় বলেও কিছু থাকবে না, যেমনটি সরকারের নেই। সরকার যদি এমন ব্যাপকভিত্তিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে জাতীয়ভাবে আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়বে। ব্যয়ও কমবে। ভারতে এমন উদ্যোগের চমৎকার সুফল দেখা গেছে।

আমি মনে করি, বেসরকারি হাসপাতালের সবচেয়ে বড় উপযোগটা হলো— সক্ষমতা ও সেবার মান। স্বাস্থ্য খাতে বেসরকারি উদ্যোগের প্রথম দায়িত্বটি হলো, মানুষ বিলটুকু দিতে পারলে তারা যেন বিশ্বমানের সেবাটুকু পান। দ্বিতীয় দায়িত্ব হবে, মানুষকে কত কম খরচে সেবা দেয়া যায়। আমার পর্যবেক্ষণ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি খাতেও অনেক সেবার খরচ কমছে। ল্যাবএইডেও।

প্রশ্ন :  কীভাবে খরচ কমিয়ে আনছেন?

খরচের বিষয়টি শুধু প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে না। যেমন, যন্ত্রপাতি আমদানিতে এক সময় আমাদের ৬০-৭০ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো। সরকার এগুলোকে মূলধনি যন্ত্রপাতি গণ্য করায় এখন তা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। শতকোটি টাকার একেকটি প্রকল্পে এ সুবিধা রোগীপ্রতি ব্যয় অনেক কমিয়ে আনতে সাহায্য করছে। স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ সাপ্লাইয়ারদের ভ্যাট, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত হাসপাতালের করপোরেট ট্যাক্স, এগুলো কমলে আমরা তার পুরো সুফলটিই রোগীদের দিতে পারব।

ওষুধ শিল্পের অগ্রগতি আরেকটি বড় অর্জন। একসময় একটি কেমোথেরাপির জন্য ২ লাখ টাকা খরচ হতো। এখন সেটি ৩২ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। সিরিয়ালে সাতটা কেমোথেরাপির জন্য ১০ লাখ টাকার বেশি দরকার হতো। অন্যান্য ব্যয় তো আছেই। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকেও চিকিৎসার জন্য বাড়িঘর সহায়-সম্বল সব বিক্রি করতে হতো।

দেশে এখন ক্যান্সারের ওষুধও উত্পাদন হচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানির ভায়াল ইনজেকশনের দাম ছিল ২৪ হাজার টাকা। স্থানীয় কোম্পানি এটি দেড় হাজার টাকায় আমাদের দিচ্ছে এবং এ ওষুধের মানও ভালো।

প্রশ্ন :  স্বাস্থ্য খাতে পিপিপি উদ্যোগের প্রস্তাব আপনারা দিয়েছেন কখনো?

এটি হতেই হবে। কারণ সরকারের একার পক্ষে শেষ মানুষটির কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব নয়। আবার বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বেসরকারি উদ্যোগের সুফল জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই হয়তো পাবে না।

ভারতের অভিজ্ঞতাটি বলি, মধ্যপ্রদেশে আরোগ্য শ্রী নামের একটি প্রকল্প আছে। এর আওতায় সরকারের এক বছরের হেলথ বাজেটের একটি অংশ রাজ্যের প্রায় ৫০০ প্রাইভেট হাসপাতালকে দেয়া হয়। তারা নিজেদের যে ১০-২০ শতাংশ বেড ফ্রি থাকে, সেখানে সরকারি রোগীদের সেবা দেয়। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল তাদের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়। এতে তারাও কিছু অর্থ পায়। এখানে মুনাফা হয়তো হয় না, তবে সামাজিক দায়িত্ব পালন হয়।

আরেকটি উদ্যোগ নিলে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা অনেক এগিয়ে যাবে। সেটি হলো, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ডাটাবেজে সব মানুষের হেলথ প্রোফাইল অন্তর্ভুক্ত করা।

প্রশ্ন : ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল সম্পর্কে বিস্তারিত বলবেন?

স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তা হিসেবে এখন ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করাটা আমার জন্য সামাজিক দায়বোধ। মৃত্যুর আগে এর সাফল্য দেখে যেতে চাই। কোনো সদস্য ক্যান্সার আক্রান্ত হলে একেকটি পরিবারের কী অবস্থা হয়, আমরা তা দেখছি। এ গল্পগুলো খুব হূদয়বিদারক।

যা-ই হোক, গ্রিন রোডেই ২২ কাঠা জমির ওপর একটি ১৫ তলা ভবন করছি। এখানে ১৫০ শয্যা, ক্যান্সার ডায়াগনসিসের জন্য সর্বাধুনিক ল্যাব, লিনাক মেশিন, চারটি ওটি, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন এবং ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে চলে যাওয়া রোগীদের জন্য প্যালিয়েটিভ কেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে আমরা প্রথম রোগী ভর্তি করানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছি।

টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্য আমরা বিশ্বের সবচেয়ে সফল গ্রুপগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভালো সাড়া পাচ্ছি। পেশাগত ও বাণিজ্যিক এ যোগাযোগের ফল হিসেবে আমরা তাদের কাছ থেকে পণ্য, প্রযুক্তি, জনবল সবই পাব। সিঙ্গাপুর ও ভারতের সেরা হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটগুলো আমাদের সহযোগিতা করার ব্যাপারে অত্যন্ত উদার।

আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখার পাশাপাশি ক্যান্সার হাসপাতালে রোগীর বিল মিনিমাইজেশনে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। আমি আত্মবিশ্বাসী আমাদের ক্যান্সার হাসপাতালের শতভাগ ওষুধ স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকেই পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন : ল্যাবএইড গ্রুপের আর কোনো পরিকল্পনা শেয়ার করবেন?

রিসার্চবেজড চিকিৎসার জন্য পূর্বাচলে আমরা একটি মেডিকেল কলেজ করছি। সেখানে আমাদের বিশেষজ্ঞরা শিক্ষা ও সেবা দেবেন। ২০১৮ সালের শেষে মেডিকেল কলেজটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। গ্রুপের সামাজিক দায়বদ্ধতা হিসেবে সেখানে আড়াইশ বেডে দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে সেবা দেয়া হবে। ক্যান্সার হাসপাতালটিতেও আমরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগীর ফ্রি চিকিৎসা দিতে চাই।

আমি আশাবাদী, আমাদের কার্ডিয়াক ও ক্যান্সার হাসপাতালের সাফল্য দেখে দেশের উদ্যোক্তারা কিডনি, অর্থোপেডিক, নিউরোলজির মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল করবেন। পাঁচ-সাতটি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হলে দেশেই মানুষ সেরা মানের চিকিৎসা পাবে। পর্যায়ক্রমে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপ্তি দেশের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে। মূল উদ্যোগটা বেসরকারি খাতকেই নিতে হবে। আবার এ অগ্রযাত্রার অংশীদার হিসেবে সরকারেরও অনেক কিছু করার আছে। বণিক বার্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়