শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:০৮ সকাল
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অস্বস্তি কাটছে না চাল-পিঁয়াজে

ডেস্ক রিপোর্ট : নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে চাল ও পিয়াজের দামে অস্বস্তিতে ক্রেতারা। দফায় দফায় বাড়ছে চাল ও পিয়াজের দাম। কাঁচা মরিচের ঝালও কম অস্বস্তির কারণ নয়। প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুগির ১০ ও খাসির মাংস ৫০ টাকা। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বলতে গেলে ক্রেতার নাগালের বাইরে। সরকারের যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে বাজারের টালমাটাল অবস্থা। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষ। তবে কিছুটা স্বস্তি শীতকালীন শাক-সবজিতে।

গতকাল রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাজার, কারওয়ান বাজার, কলমিলতা কাঁচা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের দাবি, চালের বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতা মিলারদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। পিয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ জানাতে পারছেন না খুচরা বিক্রেতারা।

ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। জানা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়েছে বিভিন্ন চালের দাম। বেশি বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য বলে খ্যাত মোটা চালের দাম। দেশের সিংহভাগ মানুষ এই চালের ভোক্তা। মনে হচ্ছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটি চক্র চালের বাজারে বিষ ছড়িয়ে চলেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন টার্গেট করেই যেন ওই মহলের কারসাজি। প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০-৭০, বিআর আটাশ ৫১-৫৪, পারিজাত ৪৬-৪৮, নাজিরশাইল ৬৫-৭৮ ও জিরাশাইল ৫৮-৫৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী জগলু বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়েছে চালের দাম। এর কারণ আমরা জানি না। মিলাররাই সব জানেন। তারা বলেন চালের সংকট। কিন্তু যখন দাম বাড়ে তখন তো চাল ঠিকই পাওয়া যায়। তখন আর সংকট থাকে না। ’
শেওড়াপাড়া বাজারের ক্রেতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. জাফর বলেন, ‘ছেলেমেয়ে মিলে ছয়জনের সংসার। চাল কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। অন্য খরচ করতেই পারি না। এত দাম বাড়লে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। তা ছাড়া পিয়াজ তো কেনাই যায় না। বাজারে অরাজকতা চলছে, দেখার কেউ নেই। ’

এদিকে বাজারভেদে দেশি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি পিয়াজ ৮০ টাকায়। কারওয়ান বাজারের পিয়াজ বিক্রেতা রকি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই পিয়াজের দাম বাড়তি। কেন বেড়েছে তা বলতে পারব না। ’ প্রতি কেজি আদা ১২০, রসুন আমদানি করা ও দেশি দুটোই ৮০, লেয়ার মুরগি লাল ১৬০, সাদা ১৫০, ব্রয়লার মুরগি ১৩০, গরুর মাংস ৪৮০, খাসির ৮০০ ও বকরির মাংস ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এদিকে শীতকালীন সবজির দাম একেবারেই কম নয়। তবে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হয়েছে অধিকাংশ সবজি। প্রতি কেজি আলু পুরাতন ১৫ ও নতুন ২৫-৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০, মুলা ২০, বেগুন মান ও জাত ভেদে ৪০-৫০, টমেটো (কাঁচা) ৩০, আমদানি ১০০, বরবটি ৮০, করলা ৪০, শিম ৪০, শসা ৪৫-৫০, পটোল ৪০, ধনেপাতা ৩০-৪০, পেঁপে ২০, ওলকপি ৪০, কাঁচা মরিচ ৯০-১০০ এবং বাঁধাকপির কেজি ২৫ ও ফুলকপির পিস ২০ টাকা।

মাছের দাম ক্রেতার নাগালেই। ১ কেজি ওজনের এক জোড়া ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২৪০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের এক জোড়া ১৪০০ টাকা। রূপচাঁদা চারটি ১ কেজি ওজনের ১ হাজার এবং পাঁচটিতে ১ কেজি ওজনের বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা। রুই ও কাতল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০০-২৮০, চিংড়ি বড় ৭৫০, মাঝারি ৬০০ ও ছোট ৪০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১০০, সিলভার কার্প ৮০, পাবদা ৩০০-৪৫০, পাঙ্গাশ ৮০, নলা ১০০, সরপুঁটি ১০০, গ্রাস কার্প ও কই ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়