শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:১২ সকাল
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইটভাটায় কোটি কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদরসহ ৯টি উপজেলায় ইটভাটা রয়েছে ১৩০টির মত। তার মধ্যে ভৌগোলিক কারণে নদীর তীরবর্তী জেলার সরাইল, নাসিরনগর ও নবীনগর অঞ্চলে ইটভাটার সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। কিন্তু গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার দিন গত মাঝ রাত থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এই কয়েক দিনের টানা আর্কষিক বৃষ্টিতে জেলার বেশীর ভাগ ইটভাটাতে তৈরি করা কাঁচা ইটের ব্যাপক ক্ষতি হতে দেখা যায়।

বছরের কার্তিক মাসের শেষ দিক থেকে অগ্রহায়ণ মাসের শুরু এই সময় ইটভাটা গুলোতে ইটভাটায় পুরোদমে চলছে ইট তৈরির কাজ। প্রত্যেক ভাটায় ২০-২৫ লাখ কাঁচামাল চুলায় (আগুনে) দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে অর্ধসময়ের বৃষ্টি। অনেক মালিকের চোখে-মুখেই দেখা দিয়েছে বিষাদের চাপ।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, অধিকাংশ ইটভাটায় প্রথম রাউন্ডের ইট চুলোয় পুড়ার কাজ চলছে। অনেক ভাটায় কাঁচা ইটগুলো সাজিয়ে রেখেছেন চুলায় দেয়ার অপেক্ষায়। দ্বিতীয় রাউন্ডের লাখ লাখ ইটাও প্রস্তুত হয়ে আছে বেশ কয়েকটি ইটভাটায়। আর এমন সময় কাঁচা ইটের অভিশাপ হয়ে আকাশ থেকে ঝড়ছে বৃষ্টি। দেখা যায়, হালকা থেকে মাঝারি টানা বিরামহীন বৃষ্টিতে ভাটার লাখ লাখ ইটা গলে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। কেড়ে নিয়েছে মালিকদের স্বপ্ন। কেউ ব্যাংক থেকে চড়া সুদে অনেকে মহাজনী সুদে টাকা এনে ভাটায় ইট উৎপাদন কাজ শুরু করেছেন। ইট বিক্রি করে সেই টাকার দায় পরিশোধ করবেন।

শ্রমিকরা জানান , কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমরা একেবারেই অলস সময় কাটাচ্ছি । মহাজনের কাছ থেকে অগ্রীম ঋণ নিয়ে কাজ করতে এসেছি। এখন যে পরিমাণ কাঁচা ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে তাতে মালিকদের কাছে মজুরীর টাকা চাইতেও ভয় করছে।

কথা হয় বেশ কয়েকজন ইটভাটার মালিকের সাথে তারা জানান, এই বৃষ্টি ইটভাটার মালিকদের বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা অনেকেই ব্যাংক ঋন নিয়ে ভাটায় ইট প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছি আবার অগ্রীম ইট বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা লোকজনের কাছ থেকে এনেছি। এখন এই অসময়ের বৃষ্টিতে আমাদের প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইটের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এবার মৌসুমে ইটভাটার কোন মালিক লাভের মুখ দেখবে বলে মনে হয় না। বাজারে আসন্ন নতুন ইটের দামও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়