শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:১৩ সকাল
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আইনি জটিলতা নেই, ঢাকা উত্তরে ভোটের দিন খুঁজছে ইসি

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা উত্তর সিটির (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন করতে কোনো আইনি জটিলতা নেই। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ভোটের কার্যপত্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক সভায় ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণসহ কার্যপত্র উপস্থাপন করবে ইসি সচিবালয়।

সূত্র জানিয়েছে, ১৫ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ভোটের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে চিন্তা করছে সচিবালয়। জানুয়ারির শুরুতে তফসিল দেওয়ার চিন্তা মাথায় নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য এসএসসির একটি পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল এই সিটিতে প্রথমে নির্দলীয় ভোট হলেও এবার দলীয় প্রতীকে উপনির্বাচন হবে। এ ক্ষেত্রে ভোটের মাঠে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি নিজের প্রার্থী নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে।

জানা গেছে, ১৩, ১৫ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে দুই বিষয়ের পরীক্ষার মধ্যে ভোট করার জন্য তিন দিন সময় ইসির হাতে থাকবে। দুটি পরীক্ষা পেছালে চার দিন সময় পাবে। একইভাবে ২০, ২২ ও ২৪ ফেব্রুয়ারিও এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি ভোট করতে হলে ওই দিনের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে। তবে ভোট করার জন্য দুই বিষয়ের পরীক্ষার মধ্যে তিন দিন সময় পাবে কমিশন। আর ২০ ও ২২ তারিখের পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে ভোট করার জন্য ইসি পাঁচ দিন সময় পাবে। সেই হিসাবে পরীক্ষার তারিখ বিশ্লেষণ করে সিইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর ইসির বৈঠকে কার্যপত্র উপস্থাপনের জন্য ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাচ্ছে সচিবালয়। এক্ষেত্রে উত্তর সিটিতে যুক্ত ১৮ নতুন ওয়ার্ড নিয়ে নির্বাচন করতেই হবে এমন কোনো বাধ্যকতা দেখছেন না নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নতুন ওয়ার্ডগুলো নির্বাচনে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। মেয়র পদে উপ-নির্বাচন করতেও কোন বাঁধা নেই। ইসি সূত্র জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এ জন্য পরীক্ষার মধ্যে ভোট করতে একটি উপযুক্ত সময় চিন্তা করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে একটি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভোটের জন্য ৪৫ দিন হাতে রেখে তফসিল দেবে কমিশন। ৩০ নভেম্বর আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর ১ ডিসেম্বর মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সে ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ উপনির্বাচন করতে হচ্ছে ইসিকে। মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করার গেজেট হাতে পাওয়ার পর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসি সচিবালয়। এ বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তসহ কার্যপত্র প্রস্তুত করতে সিইসি নির্দেশনা দিয়েছেন। ১৭ ডিসেম্বর কমিশন সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।

নির্বাচনে আইনি জটিলতা নেই : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতা নেই বলে রবিবার জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। নতুন ১৮টি ওয়ার্ড ডিএনসিসিতে যুক্ত হওয়ায় আনিসুল হকের উত্তরসূরি নির্বাচনের পথে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে এ কথা জানান তিনি। হেলালুদ্দীন সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘১৮টি নতুন ওয়ার্ডে ভোট আয়োজনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আমাদের অনুরোধ জানিয়ে রেখেছে। সে ক্ষেত্রে এ নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। নির্বাচন করতে আর কোনো জটিলতাও নেই। ’ তিনি বলেন, কমিশন বসবে। সিদ্ধান্ত হবে কী করা যায়, নির্বাচন কীভাবে করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, কমিশন নিজেরা বসে প্রয়োজন মনে করলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করবে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটির প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) আনিসুল হক পেয়েছিলেন চার লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত (আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের) প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পেয়েছিলেন (বাস প্রতীক) তিন লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট। মেয়র পদে মোট ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আর ওই সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক হাজার ৯৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন। তবে এবার এই সিটিতে নতুন ১৮ ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। সেই হিসাবে ভোটার সংখ্যাও বাড়বে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক। প্রায় দুই বছর ধরে ওই দায়িত্ব পালনের মধ্যেই চলতি বছর জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সেরিব্রাল ভাসকুুলাইটিসে আক্রান্ত আনিসুল হক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়