মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের মতো ইউরোপও জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করলেও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি বলেছেন, তাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। নেতানিয়াহু এখন ব্রাসেলস সফরে এসে ইইউ নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। গত ২০ বছরে এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলস সফর করলেন।

নেতা নিয়াহু বলেন, তিনি আশা করেন যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে ইউরোপও জেরুসালেমকে তার দেশের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে এবং ইউরোপের দেশগুলো একে একে তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে নিয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে

তিনি বলেন, জেরুসালেম ২ হাজার বছর ধরে ইহুদি জনগণের রাজধানী ছিল। কিন্তু ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং এ ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকেই অনুসরণ করবে।

মোগারিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের একমাত্র বাস্তবসম্মত সমাধান হচ্ছে দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান যার দুটিরই রাজধানী হবে জেরুসালেম। মিজ মোগারিনি দুনিয়ার সর্বত্র ইহুদিদের ওপর সব ধরণেরও আক্রমণেরও নিন্দা করেন।

ইসরায়েল বরাবরই জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী বলে মনে করে আসছে। অন্যদিকে পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী বলে মনে করে যা ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে দখল করে নেয়। জেরুসালেমের ওপর ইসরায়েলের দাবি কখনোই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার পর ব্যাপক ফিলিস্তিনি ও বিভিন্ন দেশ ক্ষোভ ও নিন্দা জানায়। একে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয় যাতে এ পর্যন্ত ৪ জন নিহত হয়েছে।