প্রত্যাশা প্রমিতি সিদ্দিক: ব্রিটেনে চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তুষারপাতে অচল হয়ে গেছে উত্তর ইউরোপের যোগাযোগ ব্যবস্থা। রবিবার প্রচন্ড তুষারপাতে জার্মান, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের আকাশ ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই স্থবির হয়ে গিয়েছে।
জার্মানির ব্যস্ততম বিমানবন্দরে ৩০০ এর বেশি ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। ফ্রাংকফ্রুটে দেখা গেছে একই চিত্র। বিমানবন্দরে আটকা পড়ে আছে প্রচুর যাত্রী। ডাসেলযর্ফ বিমান বন্দর চার ঘন্টারও বেশি সময় বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ডিপিএ।
রাইন থেকে ওয়েস্টফেলিয়া পর্যন্ত নির্ধারিত সকল ট্রেন বিলম্বে ছেড়ে গিয়েছে। আতিমাত্রায় তুষারপাতের কারণে যাত্রাপথ ঘুরিয়েও দেয়া হয়েছে বেশকিছু ট্রেনের।
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিমানবন্দরে রবিবার সকাল থেকে সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। একদিনেই ৩০ হাজারেরও বেশি যাত্রী থাকা ২০০ টি ফ্লাইট স্থগিত হয়েছে। ১১টি ফ্লাইটের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, লন্ডনের লুটন এয়ারপোর্টও দুই ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। ভুক্তভোগী এক যাত্রী বলেন, মনে হচ্ছে এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্র। বাজে আবহাওয়ার কারনে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়েলস এবং মধ্য ইংল্যান্ডের পুলিশ।
ফ্রান্সেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র। কালাইস বন্দরে প্রচন্ড বাতাসে ফেরি চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। জাহাজগুলোও মাঝ সাগরে আটকে পড়েছে। জাহাজ উদ্ধারে ব্যবহৃত নৌকাগুলোকেও বাতাসের কারণে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ফ্রান্সের ৩২টি বিভাগ দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে । এছাড়াও বৈদ্যুতিক সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে উত্তর পাস-ডে-ক্যালাইস বন্দরের প্রায় ২০,০০০ বাড়ির বাসিন্দাদের। এছাড়াও ভারী বর্ষণে বন্ধ হয়েছে আরো দুটি বিমান বন্দর। এফপি.
আপনার মতামত লিখুন :