শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩৭ সকাল
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য

রাজেকুজ্জামান রতন : সিটিং সার্ভিস হিসাবে গণপরিবহনে কোনো সার্ভিস নেই। এটা যত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুবিধার্থে বা যাত্রীদের বিভ্রান্ত করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কৌশল হিসাবে সিটিং সার্ভিস নামটা চালু করেছে। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতা, বিআরটিএর অবহেলা এবং মালিকদের মুনাফা লাভের অতিরিক্ত বাসনা কারণ হিসেবে কাজ করছে। যাত্রীদের জন্য সরকারিভাবে যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে প্রায় ৩২টি বিষয় বিবেচনা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই ভাড়া নেওয়ার সময় যাত্রীদের কোনো মতামত এর গুরুত্ব থাকে না। সরকার নির্ধারিত বাসের মালিক পক্ষের আলোচনার প্রেক্ষিতে যে ভাড়া নির্ধারিত করা হয় ৭ টাকা, সেখানে সিটিং সার্ভিস দেখিয়ে ১৫ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এটা হল ভাড়ার ক্ষেত্রে নৈরাজ্য। আবার ঠিক অ্যারেজমেন্টের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নিয়ম মেনে চলা হয় না ।

যেখানে ঢাকা শহরে সাত হাজার আটশ পরিবহন চলার কথা, সেখানে আমাদের ঢাকা শহরে পরিবহন চলাচল করছে মাত্র চার হাজার। এর মধ্যে বেশির ভাগই পুরোনো, এবং গাড়ির সিটে বসার জন্য সুব্যবস্থা নেই। গাড়িতে শিশু ও বৃদ্ধ ওঠার ক্ষেত্রে নিরাপদ নয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে চরম দুর্দশায় পড়তে হয়। ঢাকা শহরে যতগুলো যাত্রী ছাউনি থাকার কথা ছিল, ততগুলো নেই। যত্রীরা কোথা থেকে বাসে উঠবে, আবার কোথায় বাস থামবে এর কোনো নিয়ম বিধান নেই। একদিকে যাত্রীদের কোনো সুরক্ষা নেই, অন্যদিকে ভাড়ার ক্ষেত্রে নেই কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা। বাসের ভিতরে সিট ক্যাপাসিটি অনুযায়ী যতজন যাত্রী নেওয়ার কথা, তার চেয়ে দ্বিগুণ যাত্রী নিচ্ছে। এখানে বাসের মালিকরা লাভ করতে চায় কিন্তু এখানে যাত্রীদের ন্যায্য অধিকার আদায় করার জন্য কোনো সংস্থা নেই। যে কারণে সিটিং সার্ভিস নৈরাজ্য দিনদিন বেড়েই চলেছে।

এটা প্রতিকার করার উপায় হল, সরকারিভাবে যে আইন করা হয়েছে সেটা মানতে হবে এবং সরকারিভাবে যে পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়, সে নিয়ম অনুসারে ভাড়া আদায় করা। সে অনুসারে মনিটরিং করা দরকার। ঢাকা শহরে গণপরিবহন সংস্থা বাড়ানো দরকার। যাত্রীদের যে সংগঠন আছে, সে সংগঠনটি সরকারকে সহযোগিতা দেওয়া দরকার। তারা কোনো সমস্যায় পড়লে, কোনো অভিযোগ দায়ের করলে, তারা ব্যবস্থা যেন পেতে পারে। তাহলে সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য প্রতিকার করা সম্ভব হবে।

পরিচিতি : কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাসদ
মতামত : রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়