মোশরেফা মিশু : সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য চলছে রাজধানীসহ সারাদেশে। এতে আমাদের সরকার কি করছে, বিআরটিএ কি করছে? বিআরটিএকে এই বিষয়টিতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। জনগনের ভোগান্তির দিক চিন্তা করে কোন একটা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেটা নেয়া হচ্ছে না। যেখানে নরমাল বাসের ভাড়া ১০টাকা , যে বাসগুলোতে সিটিং সার্ভিস লেখা আছে, সেখানে সিটিং সার্ভিসের ভাড়া ৩০ টাকা। কিন্তু সেখানে সিটিং সার্ভিসের যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা সেগুলো পায় না যাত্রীরা। জনগনের ভোগান্তির দিক চিন্তা করে এব্যাপারে সরকার কোন পদক্ষেপও নিচ্ছে না। জনগনের স্বার্থের পক্ষে , জনগনের ভোগান্তি লাঘবের জন্য সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সরকারেকে দেখা যায়, বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত তারা বড় বড় কথা বলে। তারা জনগনের ভোগান্তি লাঘবে জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার, সে পদক্ষেপগুলো তারা নিচ্ছে না। যারা যাত্রীকল্যাণ নিয়ে কাজ করে, আমরা তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ শুনে থাকি। তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেখানে সরকারি কোন উদ্যোগ আশা করা যাচ্ছে না। জনগনের স্বার্থ দেখার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের । আমাদের দুর্ভাগ্য যে, জনগনের দুর্ভোগের বিষয়ে সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, এই সিটিং সার্ভিসকে নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে বিধায় এগুলোর ব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি
মতামত : রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :