শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:১৩ সকাল
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও আমাদের দেশে ভাতের অধিকারটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি

মু. নজরুল ইসলাম তামিজী : ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এটা মানতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে যে সমস্যাটি হচ্ছে, আমাদের যে অর্থনৈতিক অধিকারগুলো যেমন: অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা প্রভৃতি অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এগুলো যদিও আমাদের সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা আছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা সেই অধিকারগুলো পাচ্ছি না। এটা মূলত নব্য উদারপন্থী মতবাদের ফসল। এটার কারণে আমাদের দ্রব্যমূল্যের বাজারটি হচ্ছে মুক্তবাজার অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মধ্যস্থতাকারীরা। বাজারের উপর রাষ্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যে কারণে আমাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামাগ্রীগুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাউলের দাম এখন ৫০-৭০ টাকা করে। আমাদের দেশে যে গরীব অসহায় মানুষ আছে, যাদের প্রতিদিনের আয় ১০০-১৫০ টাকা, তারা ১ কেজি চাউল কেনার পরে আর টাকা থাকে না।

এই বিষয়গুলো আমরা ভাবি না। তবে দারিদ্রতা কখনো দূর করা যাবে না। দারিদ্রতাকে কমাতে হবে, নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আমাদের দেশসহ বিশ্বে¦র উন্নত দেশগুলোতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে দারিদ্রতা। যতদিন পর্যন্ত দারিদ্রতা থাকবে ততদিন পর্যন্ত মানবাধিকার লংঘন থাকবে। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের ভিতরেই আরও একটি মানুষ বাস করে। যেটাকে লালন সাই বলেছিলেন মনের মানুষ। এই মনের মানুষটি আমাদের সাথে বিরূপ আচরণ করে। আমাদের দেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল, এদেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে না। অন্ন চাই, শিক্ষা চাই, বস্ত্র চাই , বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, এগুলো ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়কার শ্লোগান। স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও এখনো আমাদের দেশে ভাতের অধিকারটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখনো রাস্তাঘাটে বের হলে কিছু অশ্লীল দৃশ্য দেখা যায়। অশ্লীল বললাম এই কারণে, আমি যখন রাস্তায় বের হই তখন দেখি, কেউ প্রাডো গাড়ী দিয়ে যাচ্ছে, কেউ প্রাইভেট কারে যাচ্ছে আবার কেউ লোকাল বাসে ঝুলে ঝুলে যাচ্ছে। ৪০ জনের লোকাল বাসে ৭০ জন চড়ে আর ১০ জনের প্রাইভেট কারে ১ জন চড়ে।

এই যে একটি অসমতা এটার জন্য প্রধান কারণ পুঁজিবাজার। যতদিন পর্যন্ত দারিদ্রতা না কমবে, যতদিন পর্যন্ত সাম্য প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত এই দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমাদের জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির কার্যক্রম যেটা, সেটা হচ্ছে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তোলা। আমাদের দেশে অধিকাংশ শিক্ষিত লোক বেকার। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য উদ্যোগী করা দরকার। সত্যিকার অর্থে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।

পরিচিতি : চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়