শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী 

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১১:২৯ দুপুর
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১১:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে জরুরি তথ্য

ডেস্ক রিপোর্ট : মাসিক ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড মেয়েদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মাসিক নিয়মিত ও সঠিকভাবে হওয়ার অর্থ হচ্ছে সে নারী সন্তান ধারণে সক্ষম। এক সময়ে মাসিককে অপবিত্র ও নোংরা বলে মনে করা হত। এই দৃষ্টিভঙ্গী অনেকটা পরিবর্তন হলেও এখনো এ নিয়ে মেয়েদের এবং মায়েদের মধ্যে অনেক ভুল ধারনা বিদ্যমান। এখনো বেশিরভাগ মায়েরা মনে করেন এটা হল শরীরের খারাপ রক্ত, যা যত বেশি বের হয় ততই ভালো।

মাসিকের সময়কাল:

মূলত মাসিক ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড হরমোনের প্রভাব জনিত একটি সাধারণ ঘটনা। সাধারনত ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে প্রত্যেক মেয়েরই মাসিক শুরু হয়ে যায়। সাধারণত এটা ৩-৫ দিন স্থায়ী হয় এবং প্রতিবার ৩০-৮০ মি.লি. রক্ত যায়। নারীদের জীবনে মাসিক ঋতুস্রাব ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ১৫ বছর বয়সের পরও যদি নিয়মিত পিরিয়ড শুরু না হয় তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিন থেকে শুরু করে ৩০ বা ৪০ দিন পরপর পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হওয়াটা স্বাভাবিক। পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় অর্থাৎ কোনো মাস বাদ চলে যায় কিংবা ১০ থেকে ২০ দিন পরপর হতে থাকে তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

পিরিয়ডের সময় করণীয়:

১. এ সময়ে মেয়েদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। যেমন: দুধ, ডিম, শাকসবজি ইত্যাদি খেতে হবে।

২. পরিষ্কার পরিছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

৩. প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে।

৪. অনেক মেয়েরাই এ সময় সাধারণ টুকরা কাপড় ব্যবহার করে থাকেন, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। এ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উত্তম।

৫. ন্যাপকিন ৪-৬ ঘণ্টার বেশি রাখা উচিত নয়।

৬. মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মনে রাখতে হবে, অস্বাস্থ্যকরভাবে ন্যাপকিন ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে জরায়ুর ক্যান্সারসহ অন্যান্য জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আর এ সময় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করলে দেখা দিতে পারে রক্তস্বল্পতাসহ নানা সমস্যা। তাই পরিবারের নারী সদস্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখন থেকেই সতর্ক হন।

সূত্র : পরিবর্তন ডটকম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়