মরিয়ম চম্পা : নেপালের সাধারণ নির্বাচনে দেশটির বামপন্থিদের বিজয় দ্বারপ্রান্তে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই নির্বাচনে সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী ও মধ্যপন্থি কমিউনিস্টদের জোট জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র মতে, বৃহস্পতিবার সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণের পর যে ৮০টি আসনে গণনা শুরু হয়েছে তার মধ্যে ৬৩টিতেই এগিয়ে আছে বামপন্থী প্রার্থীরা। নেপালের প্রাচীন রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি ও গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেপালি দৈনিক ‘নাগরিক’-এর সম্পাদক গুনা রাজ লুইন্টেল জানিয়েছেন, কাঙ্খিত এই নির্বাচনে বামপন্থি জোট নিশ্চিতভাবে জয় পেতে যাচ্ছে।
রাজ বলেন, ‘এ পর্যন্ত যে ধারণা পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে, তারা দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয় পেতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে তা হবে বামদের নিরঙ্কুশ বিজয়।’
মোট দেড় কোটি ভোটারের ভোটের মধ্য দিয়েই সংসদের ২৭৫টি আসনের ফলাফল নির্ধারিত হবে। তবে এসব আসনের মধ্যে ১৬৫টি আসনের সাংসদরা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন, বাকি ১১০টি আসন দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে নির্ধারিত হবে।
রয়টার্স’র এক জরিপে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সমভূমি থেকে ভোট গণনার ফলাফলের তেমন একটা উন্নতি পাওয়া যায়নি। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা অধ্যুষিত ওই এলাকায় কমিউনিস্টদের প্রতি সমর্থন তুলনামূলক কম। নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা সুস্পষ্ট। অন্যদিকে, মাওবাদীরা চীনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নেপালের জনগন এ পর্যন্ত প্রায় ১০টি সরকারের পরিবর্তন দেখেছে। দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনগ্রসরতা এবং ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার লোক নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে অস্থির সময় পার করছে নেপাল। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :