আনিস রহমান: জেরুজালেম নগরীকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে তোপের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি দেশটির মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সও ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। কার্যত পুরো বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত চীন, ইতালি, উরুগুয়ে, সেনেগাল, বলিভিয়া, ইথিওপিয়া, কাজাকিস্তান, ইউক্রেন, জাপান ও ডর্ডানের প্রতিনিধিরাও ট্রাম্পের ঘোষণায় উদ্বেগ জানান।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেছেন, জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি রক্ষা করার বদলে শান্তি নষ্টের চেষ্টা করছে। বহুবছর ধরেই জাতিসংঘ ইসরায়েলের প্রতি অসংযতভাবে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। যা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষে থাকতে পারে না।"
ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আবারো বিষয়টির মীমাংসায় দুই দেশের আলোচনার প্রতি জোড় দেন।
এ ছাড়া ফরাসি প্রতিনিধি ফ্রাঁসোয়া ডেলাত্রে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্যেই আরো ভয়ানক পরিণতি নিয়ে আসছে। জরুরি বৈঠকে কার্যত যুক্তরাষ্ট্র সবার প্রতিপক্ষে পরিণত হয়।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনে মদদ দেবার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেন।
তিনি বলেন, ট্রাম প্রশাসন 'জেরুজালেমের আইনগত, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক অবস্থা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও বৈধ জাতীয় আকাঙ্খার' ওপর হস্তক্ষেপ করেছে।
তবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানোন বুধবারে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন।
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ-সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনী বলপ্রয়োগ করলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। শুধু গাজা উপত্যকাতেই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত দুইজন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫০ জন।
জুমা’র নামাজের পর জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের বাইরে এবং গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মুসল্লি
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :