শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৩০ সকাল
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভোট নিয়ে সংশয় থাকলেও বাড়ছে আগ্রহী প্রার্থী

তারেক : আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও দলীয়ভাবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা শুরু করেনি। নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিও এক ধরনের ধন্ধে পড়েছে। তাছাড়া এবার ডিএনসিসি নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীক ও মনোনয়নে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে গত ৪ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আনিসুল হকের মৃত্যুর কারণে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ১৫ (ঙ) ধারা মোতাবেক মেয়রের পদ ১ ডিসেম্বর থেকে শূন্য ঘোষণা করা হলো।’

স্থানীয় সরকার বিভাগ ডিএনসিসি’র মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করায় ১ ডিসেম্বর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে, অর্থাত্ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের একরকম বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। তবে মেয়রের নির্বাচন করতে গেলে নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি-না এবং সেখানে কাউন্সিলর পদে ভোট হবে কি-না, সেই প্রশ্ন সামনে চলে আসছে। নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হলে সংক্ষুব্ধ কেউ যদি আদালতের শরণাপন্ন হন তাহলে আইনি জটিলতার জালে আটকে যেতে পারে এই নির্বাচন।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত ১৬টি ইউনিয়নকে ৩৬টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে গত জুলাই মাসের শেষদিকে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর ফলে ঢাকা উত্তরে ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়ে মোট ওয়ার্ড হয়েছে ৫৪টি। আর দক্ষিণে ১৮টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়ে মোট ওয়ার্ড হয়েছে ৭৫টি।

নতুন ওয়ার্ডগুলোর ভোটাররা মেয়র পদের উপনির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ এসব ওয়ার্ড গত নির্বাচনের সময় সিটি করপোরেশনের অংশ ছিল না। এসব ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচনও হয়নি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান আইনে নতুন এসব ওয়ার্ডে নির্বাচন করা কঠিন। কারণ, নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হলে সেখানে কীভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে আইনে সুস্পষ্ট কিছু বলা নেই। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ৩ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ডিএনসিসিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন হলে সেখানে ঢাকা উত্তরে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোর ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি-না, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

এদিকে, আগামী বছরটিকে (২০১৮) একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর হিসেবে ধরা হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতির ডামাঢোলের এই বছরে ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচন করাকে রাজনৈতিক কারণে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও মনে করছে ক্ষমতাসীনরা। একদিকে, মেয়র হিসেবে প্রয়াত আনিসুল হক কিছু সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে নগরবাসীকে যেভাবে প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন এবং তার মৃত্যুর পর দল-মত ভেদে মানুষ যেভাবে ভালোবাসা দেখিয়েছে- তাতে আওয়ামী লীগের জন্য পরবর্তী মেয়র পদে যুত্সই প্রার্থী বাছাই করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ বেশিরভাগ মানুষ আনিসুল হকের স্থানে তার মতোই কাউকে মেয়র হিসেবে দেখছে চাচ্ছে। জনপ্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সে রকম কাউকে বাছাই করতে না পারলে ভোটে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হতে পারে আওয়ামী লীগকে। তাছাড়া সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রস্থল রাজধানীর এই নির্বাচনের পরিবেশ ও ফলাফলের প্রভাব অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে। ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে সামনে হাজির হওয়া এ নির্বাচন সরকারি দলকে কিছুটা দুশ্চিন্তায়ও ফেলেছে।

নতুন ওয়ার্ড-সংক্রান্ত আইনি জটিলতা আর সরকারি দলের এরকম ভাবনার মধ্যেও মেয়র পদে উপ-নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল-জোটগুলোর নেতাদের মধ্যে ব্যক্তিপর্যায়ে আলোচনা শুরু গেছে। কারা প্রার্থী হতে পারেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন কে পেতে-পারেন; এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। মেয়রের মৃত্যুর পর প্রথম কয়েকদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে প্রয়াত আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক ও ছেলে নাভিদুল হকের নামও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে পজিশনে থেকে বা না থেকে যে কোনো দায়িত্ব পালনে আমাদের পরিবার প্রস্তুত’- গত ২ ডিসেম্বর আনিসুল হককে দাফনের পর তার ছেলে নাভিদুল হকের এই বক্তব্যকে এ ধরনের প্রচারণায় ভিত্তি হিসেবে দাঁড় করানো হয়। যদিও আনিসুল হকের পরিবারের সদস্যদের সম্ভাব্য প্রার্থী বানিয়ে গণমাধ্যমে চালানো প্রচারণায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী রুবানা হক।

তবে আনিসুল হকের মৃত্যুর পর সপ্তাহ না ঘুরতেই সেই প্রচারণায় নতুন ভাবনার খোরাক দিয়েছে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কয়েক মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যে। গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর অনুযায়ী, অনানুষ্ঠানিক ওই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো ‘আবেগী প্রার্থী’ মনোনয়ন দেয়া হবে না। রাজনীতি রাজনীতিই। এখানে আবেগের জায়গা হওয়া উচিত না। মানুষ ভোট দেবে যোগ্য প্রার্থীকে। যোগ্য প্রার্থী বাছাই করে মনোনয়ন দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য ও গণমাধ্যমে চলা প্রচারণার বিষয়ে প্রয়াত আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক গতকাল শুক্রবার ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি আমিও পত্রিকায় দেখেছি। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই- আমরা এখন গভীর শোকের মধ্যে আছি, নির্বাচনের বিষয়টি আমাদের মাথায়-ই নেই, একদম নেই-একদম নেই, এনিয়ে আমরা কেউ ভাবছিও না। আমরা শুধু সবার কাছে দোয়া চাই।’

তবে সময় যত গড়াচ্ছে উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীর সংখ্যা ততোই বাড়ছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আনিসুল হকের মত না পেলেও অন্তত তার কাছাকাছি ইমেজের কাউকে মেয়র পদে প্রার্থী করতে চায় আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে সরাসরি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, এমন কাউকে সন্ধান করছে দলটি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে বলেছেন, ‘জয়ী হতে পারবেন, এমন কয়েকজনকে নিয়ে আমরা ভাবনাচিন্তা করছি। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যারা বিশ্বাসী, সেরকম প্রার্থীও আমরা দিতে পারি। আওয়ামী লীগের সমর্থক কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা নন, এমন প্রার্থীদের নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছি।’

উপ-নির্বাচন হলে সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে নতুন করে নাম শোনা যাচ্ছে এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও হামীম গ্রুপের মালিক এ কে আজাদের। এ ব্যাপারে এ কে আজাদ গতকাল বলেন, ‘প্রার্থী হতে আমার আগ্রহ আছে। প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো।’ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র পদে লড়তে চান দলটির সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডা. এইচবিএম ইকবালও। মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে তিনি নানা মাধ্যমে লবিয়িং-তদ্বির এবং বিভিন্নজনের সঙ্গে মতবিনিময়ও শুরু করেছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানও মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তিনবারের কাউন্সিলর সাদেক একবার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছেন। আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীও মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সমর্থনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কবরী। পরে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন। কবরী গতকাল বলেন, ‘আমার আগ্রহ তো আছেই। কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর, তিনি চাইলে আমি নির্বাচন করবো।’

সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজাও মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন চান। গোলাম রেজা বলেন, ‘নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিয়ে মহাজোট গঠনে আমার ভূমিকা প্রধানমন্ত্রী জানেন। তাছাড়া আমি মনে করি আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে আমি ডিএনসিসিকে সামনে এগিয়ে নিতে পারবো।’

এদিকে, ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে কাকে প্রার্থী করা হবে সে বিষয়ে এখনও দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি। দলটির সূত্রে জানা গেছে, গতবারের মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে এবারও প্রার্থী করা হতে পারে। অবশ্য বিকল্প নানা ভাবনাও আছে দল ও এর নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে। তাবিথ ছাড়াও গুলশান এলাকার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলামের নামও আছে আলোচনায়। বিএনপি জোটগতভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে জোট শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থকেও প্রার্থী করার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু, মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম ও আন্দালিব রহমান পার্থ গত সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয়ে সাক্ষাত্ করেছেন। এসম ডিএনসিসি’র উপ-নির্বাচন নিয়েও কথা ওঠে। ব্যারিস্টার পার্থ গতকাল বলেন, ‘আমি সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে ম্যাডামের বিভিন্ন মামলা, রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি ডিএনসিসির উপনির্বাচন নিয়েও কথা উঠেছে। আওয়ামী লীগ কাকে প্রার্থী করতে পারে- সে কথাও এসেছে।’

আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেন, ‘বিএনপি এককভাবে নির্বাচন করলে একরকম হিসাব। আবার জোটগত হলে ভিন্ন চিন্তা। আবার জোটের বাইরে গিয়ে আরও বৃহত্তর পরিসরেও ভাবতে পারে বিএনপি। বিএনপি এককভাবে নির্বাচন করলে সেক্ষেত্রে তাবিথ বা দলের অন্য কেউ প্রার্থী হতে পারেন। আর জোটগত হলে এবং জোট চাইলে আমিও প্রার্থী হতে পারি। আরও বৃহত্তর পরিসরে ভাবা হলে সেক্ষেত্রে মাহমুদুর রহমান মান্না ও মাহী বি. চৌধুরীসহ অন্যদের নামও আসতে পারে, যদিও মান্না সাহেব ও মাহী তারা ইতোমধ্যে পৃথক একটি জোট গঠন করেছেন।’

ডিএনসিসি’র সম্ভাব্য উপ-নির্বাচন সম্পর্কে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না গতকাল বলেন, ‘আমি তো এখনও কিছু ভাবিনি। কারণ প্রথমদিকে যখন একবার মেয়র নির্বাচন করার কথা ভাবলাম তখন নির্বাচনই হলো না, এরপর আবার যখন ভাবলাম তখন জেলে নেয়া হলো, এবার আবার ভাবলে যে আমার কী হবে সেটাও চিন্তা করছি। তাছাড়া সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে, তো সবকিছু ভেবেচিন্তে দেখি কী দাঁড়ায়।’ ডিএনসিসি’র মেয়র পদে বিগত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী ও গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী এবারও প্রার্থী হতে চান কি-না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়