শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:১৬ দুপুর
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:১৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিজয়ের মাস ঘিরে দেশ জুড়ে চলছে পতাকা উৎসব

তরিকুল ইসলাম: দেশের স্বাধীনতা আর স্বার্বভৌমত্বের প্রতিক জাতীয় পতাকার কদরে আমাদের কোনো কমতি না থাকলেও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পতাকার ব্যবহার বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তাই বিজয়ের মাসে রাজধানীসহ সারাদেশ জুড়ে চলছে পতাকা উৎসব।

বিশেষ করে রাজধানী ও জেলা শহরগুলোতে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই মটরবাইক, গণপরিবহণ, ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশাসহ বাসাবাড়ির ছাদ ও দোকান থেকে শুরু করে অফিসের ডেস্কে শোভা পায় স্বাধীনতার এ প্রতীক।

ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই সড়কে পাড়া-মহল্লায় জমজমাট হয়ে উঠে বিজয় ব্যান্ড, রিবন, স্টিকার, মাথায় বাঁধার বেল্ট, লোগো সম্বলিত ব্রেসলেট, ব্যাচসহ জাতীয় পতাকার বেচাকেনা। বিক্রি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকালীন লাল সবুজের মাঝে হলুদ মানচিত্র আঁকা পতাকা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সম্বলিত স্টিকার ও ছবি।

এসব বিক্রেতারা সারাবছর অন্য পেশায় থাকলেও সিজনাল ব্যবসা হিসেবে মূলত ডিসেম্বর মাসেই পতাকা বিক্রি করে থাকেন। সল্প সময়ে কিছুটা বাড়তি আয়ের সুযোগও নেন অনেকে। কেউ কেউ সিজনাল পেশাদার হিসেবে পতাকা তৈরি ও পাইকারি বিক্রির ব্যবসাও করেন।

পতাকার ফেরিওয়ালা রুবেল (২৭) জানান, সায়েদাবাদ এলাকায় ফলের ব্যবসা করলেও ডিসেম্বর মাসে বাড়তি আয়ের জন্য পতাকা বিক্রি করে থাকেন। প্রায় ছয় বছর ধরে পতাকা ফেরি করে বিক্রি করছেন। মার্চ মাসেও পতাকা হাতে নামেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন উৎসবে পতাকা ও অনুসংঙ্গ জিনিস বিক্রি করাটা এখন অনেকটা নেশার মতো হয়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১২০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকার মতো লাভ হয়। বেচাকেনা ভালো হলে অর্ধেকের বেশিও লাভ হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কথা হয় পতাকা অনুষঙ্গ বিক্রেতা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে । তিনি জানান, বড় পতাকা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি পতাকা ১০০ টাকা, ছোট পতাকা ১৫ থেকে ২০ টাকা, স্টেক পতাকা ১০ টাকা, ক্যাপ ৩০ টাকা, মাথার বেল ১০ টাকা, মাথার ফিতা ১০ টাকা এবং হাতের ব্রেসলেট ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কোন পতাকার মাপ কত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এগুলা বানাই না, তাই মাপটা আমাদের জানা নেই। আমরা চকবাজার থেকে পাইকারি দামে কিন্না আনি আর বেচি। যারা কিনে তারা বুঝেসুজেই কিনে। আমাদের এসব জানারও দরকার হয় না। মাপ দিয়ে কি করবেন? সাইজ দেইক্কা বোজেন না। কোনটা লাগবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়