আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : নতুন ধান উঠলে উর্ধ্বমুখি চালের বাজার। ভোক্তাদের প্রত্যাশা ছিল নতুন চাল আসলে বাজার হবে নিম্নমুখি। কিন্তু বাস্তবের চিত্র উল্টো। নতুন ধান উঠলেও কমেনি চালের দাম বরং বেড়েছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার বাজারে সব ধরনের চাল কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা এবং মোটা চাল ৪২ টাকায়।
অভিযোগ রয়েছে, জেলার অধিকাংশ অটো মিল-মালিক কারসাজি করে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে মিলারদের দাবি নতুন ধান উঠলেও প্রতিদিনই বাড়ছে দাম। অন্যদিকে সরকারের ৩ লাখ টন ধান-চাল কেনার ঘোষণা চালের বাজারে প্রভাব ফেলেছে।
কুষ্টিয়ার বড় বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে মিনিকেট চাল খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা। ব্রি-২৮ ধানের চাল বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা এবং মোটা স্বর্ণার চাউল বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকা।
একই বাজারে এ সপ্তাহে, মিনিকেট চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়। ব্রি-২৮ ধানের চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায় এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।
মিল গেট সুত্রে জানা যায়, ১৫ দিন আগে মিনিকেট চাউল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছিল ২৭৭৫ টাকা। বর্তমানে সেই একই চাউল বিক্রি হচ্ছে ২৮৪০ টাকায়। স্বর্ণা ধানের চাউল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছিল ১৭৫০ টাকা। বর্তমানে সেই চাউল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫০ টাকা। প্রকারভেদে মিলগেটেই প্রতিবস্তায় চালের দাম বেড়েছে এক থেকে দেড়শ টাকা।
তবে মিল মালিকদের দাবি, ১৫ দিন আগে যে মিনিকেট ধান কেনা পড়েছে ৯৬০ টাকা প্রতি মণ। বর্তমানে সেই মিনিকেট ধান কিনতে হচ্ছে ১০৮০ টাকা মণ। একইভাবে ৮৭০ টাকার স্বর্ণা ধান বর্তমানে কিনতে হচ্ছে ৯৭০ টাকা মণ। সব রকম ধানের দাম মণ প্রতি বেড়েছে একশ থেকে দেড়শ টাকা। যার কারণে চালের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেন মিল মালিকরা।
কুষ্টিয়া জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, চালের বাজার কিছুটা বেড়েছে। তবে চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত তদারকি চলছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :