পরাগ মাঝি : ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক সংগঠন হামাস বলেছে, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে নরকের দরজা খুলে দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে হামাসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের দ্বারা মুসলিমদের ভূমি জেরুজালেম অন্য কারো হয়ে যাবেনা।’
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করায় আজকের দিনটিকে প্রতিবাদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে হামাস।
হামাস মুখপাত্র বলেন, ‘ফিলিস্তিনের তরুণ সমাজকে মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার গুরুত্ব বুঝতে হবে।
মুসলিম খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের পবিত্র ভূমি হিসেবে খ্যাত জেরুজালেমকে একটি ‘লাল দাগ’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছে।
হামাস মুখপাত্র আরও বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি যে একটি বোকামি ছাড়া আর কিছু নয় এটি সময়ই বলে দেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে।’
এছাড়া মার্কিন দূতাবাস তেলাবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পরও এটি কার্যকর করতে অন্তত ৬ মাসেরও বেশি সময় লাগবে। তবে, প্রায় ৭০ বছর ধরে মার্কিন অনুমোদনের জন্য ঝুলে থাকা বিষয়টি ট্রাম্পের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি হয়েছে। ট্রাম্প এটিকে বিলম্বিত সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এছাড়াও আধুনিক ইসরায়েলের সঙ্গে জেরুজালেম একীভূত হয়ে গেছে বলে মনে করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে তাৎক্ষনিকভাবে সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, ‘সকল ইসরায়েলীর জন্য এটি একটি আলোকিত দিন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বীকৃতি দেয়ার পরই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বিভিন্ন মুসলিম দেশে। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি ঘোষণার পর পরই গাজার রাজপথে নেমে আসে ফিলিস্তিনিরা। তাৎক্ষণিক বিক্ষোভে যোগ দেন হামাস নেতারাও।
বিক্ষোভকারীরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহŸান জানান। এছাড়া তিন দিনের শোক দিবস পালনের ঘোষণাও দেয়া হয় গাজায়। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট
আপনার মতামত লিখুন :