শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:৩৪ সকাল
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হঠাৎ কেন জেরুজালেম বিষয়ে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন?

প্রিয়াংকা পান্ডে: জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন দূতাবাসও তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেম আনবেন তিনি। বুধবার, দীর্ঘকাল ধরে ঝুলে থাকা বিলের সমাপ্তি করে এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

মুসলিম, ইহুদি এবং খ্রিস্টান; তিন ধর্মের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান জেরুজালেমকে নিয়ে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের টানাপোড়েনের মাঝে এই ধরনের সিদ্ধান্তের ফলাফল কি হতে পারে তা নিয়ে বিশ্ব নেতারা ইতোমধ্যে সাবধান করেছেন ট্রাম্পকে। এরপরও ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি।

ট্রাম্পের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণা কালে ট্রাম্পের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণা কালে ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী এবং মার্কিন অ্যাম্বাসি সরানোর কথা বলেছিলেন।

বুধবারের ঘোষণায় আরো একটি নাম উঠে এসেছে। লাস ভেগাস ক্যাসিনো ম্যাগনেট শেলডন অ্যাডেলসন, যিনি একজন ইসরায়েলি এবং ট্রাম্পের বিজয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা আছে বলেও জানা গেছে। তাই ট্রাম্পের ঘোষণায় একটি তীর অ্যালেডসনের দিকেও এগিয়েছে।

যদিও ১৯৯৫ সালের মার্কিন কংগ্রেস থেকে পাস করা বিল ‘দ্য জেরুজালেম অ্যাম্বাসি অ্যাক্ট’এ মার্কিন অ্যাম্বাসি সরানোর কথা উল্লেখ ছিলো। বছরে ২ বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বারা বিলটির স্থগিতাদেশে স্বাক্ষর করা হতো। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এবছরের জুনে এই বিলে স্বাক্ষর করেছিলেন। ৬ মাস শেষে বিলটিতে স্থগিতাদেশে স্বাক্ষর না করে সিদ্ধান্তে উপনীত হন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় বিশ্বনেতারা। অন্যদিকে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের রোববারের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলকে সমর্থন এবং জেরুজালেমকে সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দুই পক্ষই এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

অন্যদিকে তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেম আনার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন কথা শুরু হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, দূতাবাস সরিয়ে যদি আনতেই হয় তবে ২০২০ সালের নির্বাচনেও ট্রাম্পকে টিকে থাকতে হবে।

কারণ, এর আগে ২০০৮ সালে ব্রিটেনের উত্তর লন্ডনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস দক্ষিণ লন্ডনে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো যা আজও বাস্তবায়িত হয়নি।

সর্বোপরি, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তিচুক্তিতে ভাঙ্গন ধরাবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম-ইহুদি বিদ্বেষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এই সিদ্ধান্ত শান্তিচুক্তিকে দীর্ঘায়িত করবে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বলা হয়, ‘তীর্থস্থান ও অন্যান্য স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে আগের পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।’ আল জাজিরা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়