স্পোর্টস ডেস্ক: লিভারপুলের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন ফিলিপ্পে কুতিনহো। স্পার্তাক মস্কোর বিপক্ষে না হারলেই চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত হতো লিভারপুলের। কিন্তু জেতা তো দূরের কথা, অ্যানফিল্ডে নূন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি রাশিয়ান কাবটি। ইয়ুর্গেন কপের আক্রমণের মন্ত্র লিভারপুলকে যে কীভাবে বদলে দিচ্ছে, তার আরও একটি নমুনা আজ পাওয়া গেল। ফিলিপ্পে কুতিনহোর হ্যাটট্রিকে স্পার্তাককে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল।
কুতিনহোর হ্যাটট্রিক ছাড়াও জোড়া গোল করেছেন মানে। এ ছাড়া মো সালাহ আর ফিরমিনহোর দুটি গোল কপকে সুযোগ করে দিচ্ছে তাঁর ‘ফ্যাবুলাস ফোর’কে নিয়ে আরও একবার গর্ব করার। ৯ বছর পর ইউরোপ-সেরা লড়াইয়ের নকআউট পর্বে উঠল পাঁচবারের শিরোপাধারী লিভারপুল। গ্রুপ পর্বে ২৩ গোল করা লিভারপুল কিন্তু এরই মধ্যে অন্য দলগুলোকে বার্তা দিয়েই রাখছে।
গ্রুপ ‘ই’ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে যাচ্ছে আরও চারটি ইংলিশ কাব। ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের পাঁচটি দলে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে একসঙ্গে খেলছে।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে মারিবরের বিপে ৭-০ গোলের আরও একটি জয় আছে লিভারপুলের। তবে সেই বড় জয়টি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল গ্রুপ রানার্সআপ সেভিয়ার বিপে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও ৪-৩ গোলে হারের সেই দুঃস্বপ্নের ম্যাচে। আজ স্পার্তাকের বিপে আরও একটি সাত গোলের বিজয় কপকে সেভিয়ার দুঃখ ভুলতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।
ম্যাচের ১৯ মিনিটের মধ্যেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন কুতিনহো। ডি বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন মো সালাহ। ১৫ মিনিটের মাথায় ফিরমিনহোর পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন কুতিনহো। ১৯ মিনিটে লিভারপুলের তৃতীয় গোলটি করেন ফিরমিনহো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি গোল করে লিভারপুল। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কুতিনহো। ৪৭ মিনিটে জেমস মিলারের ক্রসটিকে দারুণ এক ভলিতে জালে পাঠান সাদিও মানে। ৪৯ মিনিটে অ্যানফিল্ড মাতে কুতিনহোর হ্যাটট্রিকে।
৭৬ মিনিটে মানের দ্বিতীয় গোলটি ড্যানিয়েল স্টারিজের পাস থেকে। ৮৬ মিনিটে মো সালাহ পূরণ করেন কপের আক্রমণ চতুষ্টয়ের বৃত্ত। স্পার্তাকের জালে সপ্তমবারের মতো বল পাঠান এই মিসরীয় তারকা।
দ্বিতীয় পর্বে লিভারপুলকে নিয়ে সবাইকেই ভাবতে বাধ্য করেছেন কপ। সুতরাং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কারা হবে, সেটি নিয়ে আগ্রহ থাকবে সবারই। কপ কিন্তু এরই মধ্যে লিভারপুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদকে দেখছেন। সেটা কেন তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘আসলে কে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে, এটা নিয়ে ভাবতে চাই না। যে হবে, তাতেই আমি খুশি। তবে আমার কপালে সব সময় রিয়াল মাদ্রিদ পড়ে। দেখি এবার কী হয়!’ সূত্র: এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :