ড. বদিউল আলম মজুমদার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে কিছু নতুন এলাকা যুক্ত হয়েছে। এই নতুন এলাকার ভোটারদের তালিকায় যুক্ত করা না হয়ে থাকলে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। যদিও এগুলো তাদের রুটিন কাজ, তা নিশ্চিত করা এখন প্রধান কাজ। ভোটার তালিকা সঠিক ও নির্ভুল করা উচিৎ। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা কতটুকু নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর। এমনিতেই আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর জনমানুষের আস্থার অভাব রয়েছে। তারা যদি সদাচরণ করে তাহলে তো কোনো চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে না। আস্তার জায়গাটাতে উন্নতি করতে হবে।
নিরপেক্ষতা প্রমাণের বড় একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে তাদের নির্বাচন কমিশনের। সামনের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে। মানুষের আস্তা অর্জন করতে হবে। এতে ব্যর্থ হলে জনগণের আস্তাহীনতা তৈরি হবে, যা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশসহ বিশ্ব নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো বর্তমান ইসির কর্মকা-ের উপর গভীর নজর রাখছে। স্থায়ী সরকার নির্বাচনগুলো ইসির জন্য এসিড টেস্টের মতো। কুমিল্লায় তারা ভালো নির্বাচন করেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। স্বদিচ্ছা ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী নির্বাচনে সম্পৃক্ত থাকুক, এটা তারা চায় না। সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত থাকলে তো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। তারা যদি চায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করবে না, তাহলে সেনা বাহিনীকে তো বাইরেই রাখবে। আমি এটা বুঝি না, কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনা বাহিনীকে রাখা হচ্ছে না।
পরিচিতি : সম্পাদক, সুজন
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :