শ.ম.গফুর, উখিয়া, কক্সবাজার : মিয়ানমারের সেনা সদস্যের হামলায় খায়রুল আমিন নামের আহত এক রোহিঙ্গা যুবককে তুমব্র নো ম্যানস্ ল্যান্ড হতে উদ্বার করা হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টারদিকে তুমব্র সীমান্তের ধান ক্ষেত থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্র্যাককর্মী রাবুল বড়ুয়া।
পরে তাকে কুতুপালং রেডক্রস হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, আহত খায়রুল গত ২৫ আগষ্ট মিয়ানমারে সৃষ্ট সংকটের পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। পরে বালুখালী ২ নং অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি ব্লকে বসবাস করে আসছিলো।
জানা যায়, মিয়ানমারের তুমব্র এলাকার বাসিন্দা ছৈয়দুল ইসলামের ছেলে খায়রুল আমিন বুধবার সকালে সীমান্তের কাটাতাঁর ক্রস করে নিজের বাড়ি ঘরের অবস্থা দেখতে যায়।
সকালে ওই এলাকায় সেনা বাহিনীর সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় ওখানে তাকে দেখতে পায়। পরে মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা বন্দুকের বাট দিয়ে সজোরে তার মাথায় আঘাত করে। শরীরের অন্যান্য অংশেও তাকে বেধরক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় এক পর্যায়ে তাকে কাটাতারের উপর দিয়ে বাংলাদেশের এপাড়ে ফেলে দেয় সেনারা। সেখানেই আহত খায়রুল অনেকটা অজ্ঞান অবস্থায় ছিলো।
ওই স্থান দিয়ে ব্র্যাককর্মী বাবুল বড়ুয়া প্রতিদিনের মতো অন্যান্য রোহিঙ্গা আশ্রয় গ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যগত খোজঁখবর নিতে যাবার সময় তাকে দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধারপূর্বক রেডক্রস হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত খায়রুল আমিন হাসপাতালে একটু সুস্থ্য হয়ে উঠলে ঘটনার বর্ণনা দেন এবং তার পরিচয় প্রকাশ করেন। ব্র্যাককর্মী বাবুল বড়ুয়া বলেন, প্রতিদিন প্রাথমিক চিকিৎসার যন্ত্রপাতি তার হাতে থাকলেও বুধবার ওই সময় তার হাতে তাও ছিলো না। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় পথে একটি সংস্থার সদস্যরা পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং পরে তাদের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
খায়রুল আমিন বলেন, বাড়ির জিনিসপত্র ঠিক আছে কিনা তা দেখতে খুব ভোরে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে সেখানে যায়। কিন্তু ১০ টার সময় সেখানে মিয়ানমার সেনা সদস্যরা তাকে দেখতে পেয়ে ধরে ফেলে। এবং বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করতে থাকে। এরপর কিভাবে যে এপাড়ের সীমান্তে পৌঁছি তা টের পায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :