ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতে ১৬ বছরের এক কিশোরী বাড়ির বকুনি থেকে বাঁচতে ধর্ষণের গল্প তৈরির অভিযোগ ওঠেছে।
এমনকি কিশোরীর ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিলো তিনজনকে।
কিন্তু ওই নাবালিকার কথাবার্তায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করে তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সব স্বীকার করে মেয়েটি।
ভারতে যখন একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে, সেই সময় বাড়ির বকুনি থেকে বাঁচতে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগে হতবাক পুলিশ।
গুজরাতের আমরোলি শহরের বাসিন্দা ওই নাবালিকা তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বাড়ি থেকে স্কুটারে করে পালায়। পথে স্কুটার দুর্ঘটনায় অল্পবিস্তর জখম হয় সে। বয়ফ্রেন্ডের বাড়িতে গেলে ছেলেটির বাবা-মা সেই রাতে মেয়েটিকে নিজেদের কাছে রেখে পরের দিন বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরায় যে প্রচণ্ড বকুনি অপেক্ষা করছে তা বুঝতে পেরে রীতিমত রোমহর্ষক কাহিনি ফেঁদে বসে সে। তাদেরই এক প্রতিবেশী, যাদের সঙ্গে ওই মেয়েটির পরিবারের সম্পর্ক ভালো নয়, তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ আনে সে।
কিন্তু তার বাবা-মা যে পুলিশে অভিযোগ করবে, এতটা বুঝতে পারেনি সে। ওই প্রতিবেশী পরিবারের এক মহিলা, অজয় নামের এক ব্যক্তি ও আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।
তবে মেয়েটির কথাবার্তায় অসঙ্গতি পেয়ে তাকে একটু চাপ দিতেই সব সত্যি জানিয়ে দেয় সে। অজয় ও তার পরিবারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নাবালিকাকেও সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র : এইসময়
আপনার মতামত লিখুন :