জ্বালাও পোড়াও করে বেগম জিয়ার রায় পরিবর্তন করা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রিকু আমির : বেগম জিয়ার রায় নিয়েও বিএনপি এখন ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি নেত্রী অপরাধ করলে শাস্তি পাবে, আর না করলে শাস্তি হবে না। অহেতুক জ্বালাও পোড়াও করে, আঘাত করে রায় পরিবর্তন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নসিম।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য প্রদান করেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি, এসটিআই/এইডস নেটওয়ার্কের চেয়ারপার্সন আবু ইউসুফ চৌধুরী প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য আদালত। কোন আদালতের বিচার এর রায় পছন্দ না হলে তা উচ্চ আদালোতে রিভিউ করা যায়, এটাই নিয়ম। আর ন্যায় বিচারের অধিকার সবারই আছে। কিন্তু আদালতকে ভাংচুর, জ্বালাও পোড়াও করে রায় আপনার পক্ষে নিতে পারেন না।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার বিচার নিয়ে গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। যে কোন কিছু হলেই গাড়ি পোড়ানো হয়। এটি মোটেও কাম্য নয়।
বেগম জিয়ার দলকে অনুরোধ করে নাসিম বলেন, রায় নিয়ে এসব জ্বালও পোড়াও বন্ধ করেন। এটা তো আদালোতের ব্যপার আমাদের কোন বেপার না। এছাড়া এ সব জ্বালাও পোড়াও করার অর্থ কি? অর্থ এটাই ২০১৪ সালের মতো এবারো নির্বাচন বন্ধ করতে জ্বালাও পোড়াও এর আশ্রয় নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু কোন লাভ হবে না। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ি অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার অধিনেই তা অনুষ্ঠিত হবে। তাই কোন চক্রান্ত করবেন না। কারণ চক্রান্ত করে আগেও কিছু করতে পারেননি, তেমনি সামনেও কিছু করতে পারবেন না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এইচআইভির ঝুঁকি নেই। তবে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এটাই এখন ভয়ের বিষয় যাতে তাদের মাধ্যমে এইডস ছড়িয়ে না পরে। এ জন্য আমাদের সকলকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্র্মুল করতে পারবো। এ জন্য আমরা এইডস রোগীদের সরকারি ভাবে চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা বিশ্বে যে এইডস দিবস পালিত হয়েছে তাতে পুরুষ ও তরুণদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। কারণ বেশির ভাগ পুরুষদের মধ্যে এইডসের সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া তারা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে চান না। এর ফলে অনেকই অজান্তে এইডস এর সংক্রামন ঘটাচ্ছে। এতে অনেক নিরীহ নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এইডস প্রতিরোধ করতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
আপনার মতামত লিখুন :