নাসরিন বৃষ্টি: ধীরগতিতে চলছে বরিশালের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ। এরই মধ্যে নতুন করে হাতে নেয়া হয়েছে প্রকল্পের কাজ। তবে বরাদ্দকৃত সময় বাড়িয়েও সমাপ্ত হয়নি প্রকল্প নেয়ার একটি কাজও। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ । প্রকল্পের কাজের এই ধীরগতির জন্য সিটি করপোরেশনের গাফিলতি ও দুর্নীতিকে দায়ী করছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আদেশে ২০১৪ সালে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম নির্মাণ কাজ। কিন্তু বছর না যেতেই প্রকল্পের ব্যয় ১৭ কোটি থেকে বাড়িয়ে করা হয় প্রায় ২৫ কোটি। একই অবস্থা সাড়ে তিন কোটি টাকার দুটি সিটি গেটের। অথচ বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী গত বছরের জুনেই এই দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এ সম্পর্কে স্থানীয় জনগণ বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের যখন দায়িত্ব নেন তারপর কয়েক বছর হয়ে গেছে তবুও অডিটোরিয়ামের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। কাজের কোনো অগ্রগতি নেই।’
পুরনো কাজের মতোই দশা নতুন প্রকল্পেরও। ধীর গতিতে চলছে ট্রাক স্ট্যান্ড এবং সেবক কলোনি নির্মাণসহ ১৫০ কোটি টাকার মতো কাজ। এরমধ্যে ট্রাক স্ট্যান্ড জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণের টাকাই পায়নি এখনও।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘টাকা দিবে দিবে বলেও কোনো টাকা দেয়া হচ্ছে না। আমাদের আর কিছুই নেই। এখন আমরা পথের কাঙ্গাল।’
এদিকে জুন মাসে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এ সম্পর্কে বরিশাল সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ জুন ১৮ তে সমাপ্ত হবে। ইতোমধ্যে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক।’
এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাজের এরকম উন্নয়নের অগ্রগতিতে সচেতন জনগণ হতাশ। এ সম্পর্কে বরিশালের সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি গাজী জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এর পেছনে বিষয়গুলো হচ্ছে কাজের প্রতি দায়িত্বহীনতা, অবহেলা ও স্বচ্ছতার অভাব।’
তাছাড়া কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে চালুর আগেই ধ্বংসের পথে ৪৩ কোটি টাকার ব্যয়ের নির্মিত দুটি পানি শোধনাগার।
সূত্র: যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :