শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:৫৬ সকাল
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে ১৫ হাজার আসামি পলাতক!

ডেস্ক রিপোর্ট :  চট্টগ্রামের আলোচিত ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন চৌধুরীকে ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই নগরীর বহদ্দারহাট থেকে অপহরণ করে খুন করা হয়। এ ঘটনায় নগরীর চান্দগাঁও থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা করা হয় ২২ জুলাই। আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হলেও এখনও পলাতক এ মামলার ছয় আসামি আলমগীর, মনসুর, ওসমান, মাহাবুব, রফিক ও আবুল কাশেম। গত ১৪ বছরেও তারা গ্রেফতার হয়নি।

শুধু খুনের মামলার এ ছয় পলাতক আসামিই নয়, চট্টগ্রাম আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর পরও বছরের পর বছর ধরে গ্রেফতারের বাইরে রয়েছে ১৫ হাজার আসামি! এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আড়াই হাজার। বাকি সোয়া ১৩ হাজার পলাতক আসামি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। চট্টগ্রাম মহানগরের ১৬ থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানাগুলো পড়ে থাকলেও তা বাস্তবায়নে থানা পুলিশের তৎপরতা তেমন চোখে পড়ে না। এগুলো ঝুলিয়ে রেখে গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে একশ্রেণির অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন মামলার আসামিরা পলাতক থাকা আইনের শাসনের অন্তরায়। সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে পুলিশকে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন করতেই হবে। এখানে পুলিশের অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।'

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী  বলেন, 'আদালত থেকে জারি করা চট্টগ্রাম মহানগরের ১৬ থানায় সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন মামলার বহু গ্রেফতারি পরোয়ানাই থানায় তামিল হচ্ছে না। বিষয়টি পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কন্সফারেন্সে আলোচনাও হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে থানা পুলিশকে দ্রুত পরোয়ানা তামিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের অক্টোবরের হিসেবে, চট্টগ্রাম মহানগরে খুনসহ বিভিন্ন মামলায় জিআর মামলা ও সিআর মামলার দুই হাজার ২৬৯ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে। থানাওয়ারি হিসেবে এদের মধ্যে নগরীর কোতোয়ালিতে ৭৬৩, চকবাজারে ৪৭, সদরঘাটে ৯০, বাকলিয়ায় ১৪৯, খুলশীতে ১২৬, পাঁচলাইশে ২৩০, চান্দগাঁওয়ে ১২৫, বায়েজিদে ১২৫, পাহাড়তলীতে ৬৮, আকবর শাহ থানায় ৩২, হালিশহরে ৫৯, ডবলমুরিংয়ে ২৭৭, বন্দরে ৭৩ জন, ইপিজেডে ২৯, পতেঙ্গায় ১৭ ও কর্ণফুলীতে ৬৪ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করলেও পরোয়ানা পড়ে রয়েছে থানায়।

এ ছাড়া নগরীর ১৬টি থানায় আদালতে বিচারাধীন জিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও পাঁচ হাজার ২৮৯ জন আসামি পলাতক রয়েছে। থানাওয়ারি হিসাবে কোতোয়ালিতে এক হাজার ৩৮, চকবাজারে ১০৮, সদরঘাটে ১৬১, বাকলিয়ায় ৬৩২, খুলশীতে ৩৭৫, পাঁচলাইশে ২৭৫, চান্দগাঁওয়ে ৪১৭, বায়েজিদে ৬০৬, পাহাড়তলীতে ৩৩৬, আকবর শাহে ১৭৯, হালিশহরে ১৫৮, ডবলমুরিংয়ে ৪০৬, বন্দরে ১৮০, ইপিজেডে ২৮, পতেঙ্গায় ১০৬ ও কর্ণফুলীতে ২৮৫ জনের পরোয়ানা পড়ে রয়েছে। সিআর মামলায় সাত হাজার ৫৯টি পরোয়ানা বাস্তবায়ন করা হয়নি। থানাওয়ারি হিসাবে এর মধ্যে নগরীর কোতোয়ালিতে এক হাজার ৯৫৪, চকবাজারে ২৮২, সদরঘাটে ২৪৮, বাকলিয়ায় ৯২৩, খুলশীতে ৪৫৯, পাঁচলাইশে ৩৭১, চান্দগাঁওয়ে ৩৮৫, বায়েজিদে ৫৯১, পাহাড়তলীতে ২৪৬টি, আকবর শাহে ১২৪, হালিশহরে ১০২, ডবলমুরিংয়ে ৬৫৪, বন্দরে ২৪৫, ইপিজেডে ৪৪, পতেঙ্গায় ১৫১ ও কর্ণফুলীতে ২৮০ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পড়ে আছে।

মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল বেলাল বলেন, 'আসামিরা পলাতক থাকায় দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হয় না। তাই মামলার বাদীসহ ভিকটিমরা ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশকে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।'  সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়