আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয়ে কয়েকটি আরব ও মুসলিম দেশের নির্লজ্জ স্বীকারোক্তির তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি।
রাজধানী তেহরানে আজ (মঙ্গলবার) ৩১তম আন্তর্জাতিক ইসলামি ঐক্য সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সমালোচনা করেন। ড. রুহানি বলেন, কিছু আঞ্চলিক ও মুসলিম দেশ নির্লজ্জভাবে নিশ্চিত করছে যে, তাদের সঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সম্পর্ক আছে। তিনি একে মুসলিম বিশ্বের জন্য তিক্ত ঘটনা বলে অভিহিত করেন।
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, "অতীতে আঞ্চলিক কিছু দেশ গোপনে এই শত্রুর সঙ্গে আলোচনা ও সহযোগিতা করত এবং তা অস্বীকার করত। এই সম্পর্ক এতটাই উদ্বেগজনক ও বিস্বাদ ছিল যে, কোনো রাষ্ট্রপ্রধানই ইসরাইলকে বন্ধু ও প্রতিরোধ ফ্রন্টকে শত্রু বলে মনে করতেন না।"
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক নিয়ে বহু খবর বের হয়েছে। দু পক্ষের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই কিন্তু গোপন যোগাযোগ রয়েছে।
সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট রুহানি ইরাক ও সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দেশ দুটির সামরিক বাহিনীর নানা সাফ্যলের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ঐক্য সম্মেলন অনুষ্ঠানের সময় সিরিয়ার আলেপ্পো শহর মুক্ত হয় এবং ঘটনাক্রমে এবার ইরাক ও সিরিয়ায় দায়েশের চূড়ান্ত পতন হয়েছে। আন্তর্জাতিক বলদর্পী শক্তিগুলো ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এটা পরিষ্কার যে, আমেরিকা ও ইসরাইলসহ বলদর্পী শক্তিগুলো দায়েশকে সৃষ্টি করেছে এবং আঞ্চলিক দেশগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে দিয়েছে। তারাই মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া-সুন্নি এবং অন্য জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে।" প্রেসিডেন্ট রুহানি আশা করেন, আজ হোক কাল হোক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সিরিয়া পুরোপুরি মুক্ত হবে এবং ইরাকের জনগণ আরো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে।
ইয়েমেনের চলমান ঘটনাবলী নিয়েও ইরানের প্রেসিডেন্ট কথা বলেন। তিনি আশা করেন, দেশটির জনগণ চলমান সংকট থেকে মুক্তি পাবে এবং চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হবে। - পার্সটুডে ।
আপনার মতামত লিখুন :