শিরোনাম
◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:১৫ রাত
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধান্দাবাজরা সম্পদ কুক্ষিগত করায় বৈষম্য বাড়ছে

জাফর আহমদ: ধান্দাবাজরা সম্পদ কুক্ষিগত করার কারণে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে বলে মনে করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, সম্পদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শুধু ন্যায্যভাবে আয় করে কিছু লোক সম্পদশালী হচ্ছে তা নয়, এখানে নানা রকম ধান্দাবাজি আছে। এই ধান্দাবাজরা অনেক সম্পদ তাদের কুক্ষিগত করে নিচ্ছে। এ কারণে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। এখন সময় এসেছে যে সম্পদ বৈষম্য বাড়ছে তার দিকে নজর দেওয়া। দেখতে হবে যাতে কিছু মানুষের কাছে সম্পদ কুক্ষিগত না থাকে। এক সাক্ষাতকারে এ প্রতিবেদককে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বিশ্বের ১ শতাংশ মানুষের কাছে পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদ। আর বাকী অর্ধেক সম্পদ ৯৯ শতাংশ মানুষের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রে ১ শতাংশ মানুষের কাছে ৪০ শতাংশ সম্পদ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালের পর বাংলাদেশে বৈষম্য কিছুটা কমেছিল। আগের বছরগুলোতে আরও বেশি ছিল। কিন্তু আবার বৈষম্য বেড়েছে। পুরনো জায়গায় চলে গেছে।

তিনি বলেন, দেশে এখন দারিদ্র ২৪ শতাংশ। ১৯৯০ সালে ছিল ৬০ শতাংশ। ২০০৫ সালে কমে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশ। এটা সম্ভব হচ্ছে সরকারের নানামুখি কার্যক্রমের ফলে। এখন আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার দারিদ্র দূরিকরণ। শতাংশের বিবেচনা করলে দারিদ্র কমেছে। কিন্তু সংখ্যার দিকে বিবেচনা করলে দেখা যাবে ৪ কোটি মানুষ এখনো দরিদ্র আছে। এবং অতি দরিদ্র আছে প্রায় ২ কোটি মানুষ। অনুপাতের দিক থেকে অতি দারিদ্রের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু এখনও মোট জনসংখার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।

তিনি বলেন, সব মানুষের কাছে উন্নয়নের অধিকার রয়েছে কিন্তু সেখানে পৌছে না। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ হচ্ছে প্রতিবন্ধি। তারা শিক্ষা, পুষ্ঠি, কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া হচ্ছে দলিত জনগোষ্ঠী। তারাও বঞ্চনাার শিকার। এরপরও আছে নারী কৃষক। তাদের সংখ্যা একেবারে কম না। পাহাড়, হাওর, উপকূল, দ্বীপ ও চর অঞ্চলে খুব্ই খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। এ সব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি নজর দিতে হবে। দুটি বাজেট এ সব জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নীতিতেও আছে। এই নীতিকে বাস্তবায়ন তিনি জোর দেন।

দারিদ্রের একটি বড় কারণ হলো বৈষম্য। এ ছাড়া আয় বৈষম্য, ভোগ বৈষম্য এবং সম্পদ বৈষম্যের কারণে দারিদ্র বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, সম্পদ বৈষম্য বাড়ছে। বৈষম্য মানে জাতীয় আয় যেটা বাড়লো তার অধিকাংশ নিয়ে নিচ্ছে যাদের হাতে ক্ষমতা আছে, অর্থনৈতিক ক্ষমতা আছে বা অন্যান্য ক্ষমতা আছে। বাকী যারা আছে তারা ন্যায্য অংশ পাবে না। টেকসই উন্নয়নের মূল কথাই হচ্ছে কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না।

সুষমবন্টের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বাড়ানো; প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রযুক্তি প্রাপ্তি ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই তাদের হাতে সম্পদ আসবে। এবং আয় বাড়বে বলে জানান এই অর্থনীতিবিদ। বলেন, আমরা পল্লী কর্ম-সহায়ক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এ ব্যাপারে কাজ করছি। আর দ্বিতীয়ত, ট্যাক্সের মাধ্যমে সম্পদশালীদের কাছে থেকে নিয়ে মানুষের কল্যানে ব্যয় করা। কিন্তু ট্যাক্সও তারা দিচ্ছে না। কিছু কিছু মোটেও দিচ্ছে না। তবে রাজস্ব বোর্ডের নানামুখি কর্ম তৎপরতার ফলে এর কিছুৃটা বেড়েছে। আরও বাড়াতে হবে। কর-জাতীয় আয়ের যে রেশিও কম। আশে পাশের দেশগুলোর চেয়ে আমাদের অনেক কম।

সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়