শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০১:৩২ রাত
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০১:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ জাতিসংঘের

আবু সাইদ: জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জেইদ আল রাদ আল হুসেইন মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হয়তো গণহত্যার মতো অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন।

এই প্রথম জাতিসংঘের কোন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মতো অভিযোগ তুললেন। জেইদ আল রাদ আল হুসেইন এর আগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো সহিংসতাকে জাতিগত নির্মূল অভিযানের জ্বলন্ত উদাহারণ (টেক্সটবুক এক্সাম্পল অব এথনিক ক্লিনজিং) বলে বর্ণনা করেছিলেন।

জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের এক জরুরী অধিবেশনে আজ এক ভাষণে তিনি 'গণহত্যার' আশংকার কথা বলেন। বাংলাদেশের অনুরোধে মানবাধিকার কাউন্সিলের এই জরুরী অধিবেশন ডাকা হয়।জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সাধারণত জেনোসাইড বা গণহত্যা শব্দটি হালকাভাবে ব্যবহার করেন না।

জেইদ আল রাদ আল হুসেইন যে এই শব্দটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে বোঝা যায় যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতায় জাতিসংঘ কতটা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিবিসির ইমোজেন ফুকস বলছেন, শুধু তাই নয়, এতে আরো স্পষ্ট হচ্ছে যে এই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে অং সান সুচির ব্যর্থতাতেও তারা হতাশ।

এ বছরের অগাস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মুখ থেকে শোনা গেছে গণহত্যা, ধর্ষণ, গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগের বর্ণনা।

জেইদ রাদ আল হুসেইন বলছেন, তাদের মুখে এসব ঘটনার বিবরণে এতটাই মিল যে জাতিসংঘ এখন মনে করছে, সেখানে যে গণহত্যা চলেছে সে সম্ভাবনা আর উড়িয়ে দেয়া চলে না।

"আমরা যদি রোহিঙ্গাদের স্বতন্ত্র নৃতাত্বিক, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বার কথা ভাবি, এবং যারা সহিংসতা ঘটাচ্ছে তাদের আলাদা সত্ত্বার কথা মনে রাখি, তাহলে গণহত্যা যে ঘটে থাকতে পারে তা উড়িয়ে দেয়া চলে না ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মুখে একই রকম হত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগের মতো ভয়াবহ বর্বরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।"

মি. আল হুসেইনি আরো বলছেন - মানবাধিকার পরিস্তিতির অব্যাহত নজরদারি এবং শরণার্থীদের নিরাপদে ও মর্যাদা নিয়ে বসবাসের পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কাউকে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত হবে না - এটা দ্ব্যর্থহীনভাবে স্পষ্ট হতে হবে।

অবশ্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মিয়ানমারের প্রতিনিধি বলেছেন, এই সহিংসতা মিয়ানমারর সরকারের নীতি নয়, বরং চরমপন্থীরা এসব ঘটাচ্ছে এবং তাদের ঠেকাতে সরকার সবকিছুই করছে।

তিনি যাই বলুন, মি আল হুসেইনি বলেন, বৈষম্য ও সহিংসতা অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গাদের নিশ্চিতভাবেই আরো দুর্ভোগের শিকার হতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়