শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:২৭ দুপুর
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আদালতে `সুরা নিসার’ আয়াত তরজমা করলেন খালেদা জিয়া

আল-আমীন আনাম: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ১৩৫ নম্বর আয়াতটির বাংলা তরজমার কথা উল্লেখ করে। ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী তোমাদের চাইতে বেশি। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বলো কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ-কর্ম সম্পর্কেই অবগত।’ মাননীয় আদালত আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।”

মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে সপ্তম দিনের মতো বক্তব্য উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পরে যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ১৯, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এর আগে প্রায় তিন ঘণ্টা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমার সম্পর্কে পিডব্লিউ ১ হারুন অর রশীদ দাবি করেছেন, আমি সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলি এবং অপারেট করি। কিন্তু এ জাতীয় কোকো তথ্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হতে বা সোনালী ব্যাংকের রেকর্ডপত্র হতে উপস্থাপন করতে পারেননি। তার এ রূপ বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য। পিডব্লিউ ১ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমি সোনালী ব্যাংক রমনা শাখা হতে অ্যাকাউন্টের টাকা ট্রান্সফার করে সোনালী ব্যাংক গুলশান, নিউ নর্থ শাখায় স্থানান্তর করি। পিডব্লিউ ৩ সফিউদ্দিন মিঞা ও পিডব্লিউ ৫ হারুনুর রশিদ উভয়েই সোনালী ব্যাংক গুলশান নর্থ শাখার কর্মকর্তা হিসাবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের সাক্ষ্যে এই শাখায় ০৯-১০-১৯৯৩ এ এসটিডি হিসেবে নম্বর ৭-এর অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফরম এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-এর ডিড অব ট্রাস্টের ফটোকপি, স্বাক্ষরকার্ড দাখিল করেছেন এবং প্রমাণ করেছেন। তাঁদের সাক্ষ্যে তাঁরা একথা বলেন নাই যে, আমি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্ট খুলি বা এ অ্যাকাউন্টগুলোর সিগনেচার কার্ডে আমার স্বাক্ষর ছিল বা আমি অপারেট করি।’

‘মাননীয় আদালত, আমার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত এইরূপ সাক্ষ্য থেকে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, আমি বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনার বিষয়ে কিংবা সোনালী ব্যাংক রমনা করপোরেট শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে বা এই অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করে সোনালী ব্যাংক, গুলশান নিউ নর্থ শাখায় স্থানান্তরের সঙ্গে মোটেই সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে কোনো পর্যায়েই অ্যাকাউন্টটির খোলা অথবা অপারেট করার কোনো সাক্ষ্য নেই।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘মাননীয় আদালত, এ জাতীয় সাক্ষ্যের দ্বারা ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্টের অথবা ইনট্রাস্টমেন্টের দায়বদ্ধতা আমার ওপরে বর্তায় না।’

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়