শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:২৭ সকাল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পর্যটন হোক প্রবৃদ্ধির নতুন ঠিকানা

এইচ এম তারিকুল ইসলাম : শিল্প বিপ্লবের এই যুগে উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক বেশি পরিবেশবাদী হওয়ায়, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন শিল্পসমূহ ক্রমান্বয়ে অনুন্নত দেশসমূহে স্থানান্তরিত হচ্ছে। শিল্পোন্নত দেশগুলো ক্রমশ ঝঁংঃধরহধনষব ঞড়ঁৎরংস বা টেকসই পর্যটন এর দিকে ঝুঁকছে এবং পরিবেশের ভারসাম্যতার দিকে খেয়াল রেখে উন্নত হালকা শিল্প ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাচ্ছে। পর্যটন নির্ভর অনেক দেশ বর্তমানে প্রকৃতিকে এবং ঐতিহাসিক প্রতœতত্বকে পর্যটন পণ্য হিসেবে চৎড়সড়ঃব করছে, আবার আমেরিকা বা দুবাইয়ের মত আধুনিক নির্মানশৈলী পর্যটকদের কাছে অনেক আকর্ষণীয়।

ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঞড়ঁৎরংস উবংঃরহধঃরড়হং রহ ২০১৪ এর মতে ২০১৪ সালে পর্যটক বিচরণকারী শীর্ষ দেশগুলো হচ্ছে ১. ফ্রাঞ্চ ২. যুক্তরাষ্ট্র ৩.স্পেন ৪. চীন ৫.ইতালি, ৬.ইউকে ৭.জার্মানী ৮.ম্যাক্সিকো ৯.থাইল্যান্ড এবং ১০. তুর্কি। এর ভেতর চীনের পর্যটন সমাগম আগের বছর থেকে ২০১৫ তে কিছুটা কমেছে, তবুও এশিয়ার শ্রেষ্ট পর্যটন দেশ কিন্তু গণচীন। ২০১৫’র তুলনায় ২০১৬ তে পর্যটকদের পদচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.০% হারে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এই বাংলাদেশ আলোচিত এই খাত থেকে উল্লেখযোগ্য আয়ে এখন ব্যর্থ। শুধু পিছিয়েই নয় বরং অনেক পিছিয়ে। গণচীনের পরের অবস্থানে আছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম আর তালিকার শেষে আমাদের প্রতিবেশী ভারত। উপমহাদেশের পর্যটন আকর্ষণ হারানোর মূল কারণ যেমন বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। টঘঊচ ’র বক্তব্য অনুযায়ী শীর্ষ ৫টি রাজস্ব আয়ের উৎসর অন্যতম হচ্ছে পর্যটন। তুলনামুলকভাবে আয়তনের দিক ও আমাদের পর্যটন সমৃদ্ধতা বিবেচনা করলে আমাদের সোনার বাংলাদেশও হতে পারে এশিয়ার পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র । শুধু দরকার সম্ভাবনাময় এই শিল্পের লালন ও বেসরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা। অবকাঠামগত উন্নয়নেই পর্যটন প্রসারে প্রধান নিয়ামক নয় বরং বিশ্ববাজারে এর উপস্থাপন পদ্ধতিও গুরুত্বপূর্ণ ।

একটি ভাল পর্যাটন কেন্দ্রের পণ্য হিসেবে প্রধান উপাদান গুলো হচ্ছে: পর্যটন পণ্যের আকর্ষণ বা মনমুগ্ধকরণের মৌলিক উপাদান, পর্যটকের অভিগম্যতা, গন্তব্যের যোগাযোগ ব্যাবস্থা, সুবিধা / সুযোগ, চিত্র বা দৃশ্যবলি, মূল্য বা সামঞ্জস্যপূর্ণ খরচ। এছাড়াও এই সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক জরুরী বিষয়। এইসব বিবেচনায় বেশ কিছু দিক থেকে আমরা পিছিয়ে । সরকার ও বেসরকারি সার্বিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ বাস্তবায়নে সঠিক বিনিয়োগে বাংলাদেশ হবে সত্যিকারের মধ্যম আয়ের দেশ। মনে রাখতে হবে, রোম এক দিনে গড়ে ওঠেনি।

লেখক : পর্যটন গবেষক
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়