উম্মুল ওয়ারা সুইটি: আনিসুল হকের প্রয়াণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে। প্রার্থী তালিকায় প্রথমেই আগ্রহ আসে আনিসুল হকের পরিবার থেকে। আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক গত শনিবার প্রয়াত মেয়রের জানাজার আগে দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে তার প্রচ্ছন্ন ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন। মূলত তারপরই বিষয়টি আলোচনায় আসে। আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আনিসুল হকের স্থানে তার স্ত্রী রুবানা হকও প্রার্থী। তারা চায় পরিবারের থেকেই কাউকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে গত দুদিন ধরে আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ নেতাই মনে করেন, আনিসুল হকের স্থানে বসার জন্য তার পরিবারের কেউই যথেষ্ট উপযুক্ত নয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখানে আবেগের কোনো সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আনিসুল হকের মতো জনপ্রিয় এবং পরিচ্ছন্ন প্রার্থী দেওয়ার পক্ষেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এখনও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। অনেকেই ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। আনিসুল হকের পরিবার থেকেও রুবানা হক ও নাভিদুল হকের কথা বলা হচ্ছে। তবে এটা তো আবেগের জায়গা নয়। এর সঙ্গে যোগ্যতা-দক্ষতা যুক্ত। দলের বিজয় নিশ্চিত করতে সেই ধরণের প্রার্থীই খোঁজা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্র থেকে জানা গেছে, আনিসুল হক মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে দলে ছোটোখাটো আলোচনা চলছে। গত দুদিনে অন্তত ১০ জনের নাম এসেছে। পরিবারের বাইরে আওয়ামী লীগ নেতা সালমান এফ রহমান, সাবের হোসেন চৌধুরী, রহমত উল্ল্যাহ, আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম, সাদেক খান ও কর্ণেল (অব:) ফারুক খানের নামও এসেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ফারুক খান বলেন- পরিচ্ছন্ন, জনপ্রিয় প্রার্থীকেই বেছে নেবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড এ ব্যাপারে বাছাই করবে। সেখান থেকে সবকিছু বিচার-বিবেচনা করে মনোনয়ন ঠিক করা হবে। মূলত আওয়ামী লীগ সভাপতির উপর বিষয়টি নির্ভর করছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সব নির্বাচনেই পরিচ্ছন্ন প্রার্থী দিয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না।
আপনার মতামত লিখুন :