শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:৪২ রাত
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তোমাকে ভালবাসি হে নবী!

মুফতি মুহাম্মদ আবু সালেহ : হযরত মুহাম্মদ সা.। একজন ব্যক্তিই নন- জীবন্ত একটি আদর্শ। একটি বিপ্লব। পৃথিবী আজ অবদি কত মানুষ - মহামানুষ দেখেছে, কত নামীদামী মানুষের সংস্পর্শ পেয়েছে; কিন্তু নবী মুহাম্মদ শুধু একজনই পেয়েছে। সৃষ্টিক‚লে চরিত্রের সর্বোচ্চ সিংহাসন যিনি দখল করেছেন, তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ সা.। উত্তমচরিত্রের ফুল ফুটিয়ে পৃথিবীকে যিনি চমকে দিয়েছেন, তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ সা.। যার আদর্শে পৃথিবী আজও অবাক, তিনি হযরত মুহাম্মদ সা.।

মানবচরিত্রের তিনটি স্তর রয়েছে। এক. খুলুকে হাসান। দুই. খুলুকে কারীম। তিন. খুলুকে আজীম। পৃথিবীতে যত নবী রাসুল এসেছেন, তাদের কেউ ছিলেন খুলুকে হাসান এর অধিকারী। কেউ ছিলেন খুলুকে কারীমের অধিকারী। চরিত্রের সর্বোচ্চ স্তর খুলুকে আজীমের অধিকারী ছিলেন একমাত্র নবী মুহাম্মদ সা.। সুতরাং তিনি শুধু সবার সেরা নন, বরং তিনি হচ্ছেন সব সেরাদের সেরা। পবিত্র কুরআনে সুরা নুনের এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘হে নবী! নিশ্চয় আপনি সুমহান চরিত্রের অধিকারী।’ অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় তোমাদের জন্য নবী মুহাম্মদ সা. এর মাঝে রয়েছে উত্তম আদর্শ।

যার চরিত্র সম্পর্কে ¯্রষ্টার পক্ষ হতে এমন সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে, তার চরিত্র মাধুরীর উৎকৃষ্টতা প্রমাণ করতে দ্বিতীয় আর কোন দলিলের প্রয়োজন নেই। রাসুল সা. এর ইন্তেকালের পর হযরত আয়েশা রা. কে রাসুলের চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তোমরা কি কুরআন পড়োনি? পবিত্র কুরআনই হচ্ছে তার চরিত্র। অর্থাৎ রাসুল সা. তার পুরো জীবনকে কুরআনী চরিত্রে সাঁজিয়েছিলেন। রাসুল সা.এর উত্তমচরিত্র পবিত্র কুরআন হাদিসের এবারতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর প্রতিফলন ঘটেছিল নবীজীবনের বাস্তবাঙ্গনে। তায়েফবাসী তাঁকে বিনা কারণে আঘাতের পর আঘাত করেছে। ছোট বড় পাথর গায়ে ছুড়ে মেরেছে। আঘাতে আঘাতে দেহ, এমনকি জুতাসহ রক্তাক্ত করেছে। রাসুল সা. সবকিছু মেনে নিয়েছেন। তাদের জন্য রহমতের দুআ করেছেন। বলেছেন, তারা আমাকে চিনে না।

রাসুলকে কষ্ট দিতে যে বুড়ি রাস্তায় কাটা বিছিয়ে রাখতো- একদিন কাটা দেখতে না পেয়ে রাসুল সা. তার খবর নিতে গেলেন। বুড়ি কোনো সমস্যায় পড়েছে কি না? আহ! নবীজীর চরিত্রের উচ্চতার এরচেয়ে বড় উদাহারণ আর কী হতে পারে? যে মক্কাবাসী রাসুলকে এতো কষ্ট দিয়েছে, চরম নির্যাতন করেছে তার সাথীদের। মক্কাবিজয়ের দিন এ জালেমদের জন্যই তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। প্রতিশোধের ছিটেফোঁটাও আদায় করেননি কারো থেকে। আমি হলফ করে বলতে পারি, এমন চরিত্রের মানুষ পৃথিবী দ্বিতীয় আর কাউকে দেখেনি।

আল্লাহ তায়ালা রাসুল সা. কে যেমন দিয়েছিলেন রূপের সৌন্দর্য, তেমনি দিয়েছিলেন চারিত্রিক উৎকৃষ্টতা। রূপে গুণে মিলে তিনি একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ। তাঁর চরিত্রে একটুকুনও কমতি ছিল না। তাই তিনি সবার সেরা। আমরা চোখ বন্ধ করে নির্দ্বিধায় বলতে পারি, তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। আমরা বিনাবাক্যে মেনে নিতে পারি তাঁর আদর্শ। জীবনের বাঁকে বাঁকে অনুকরণ করতে পারি তাঁর চরিত্রের। আফসোস! বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেনা এ মহামানবের চারিত্রিক উৎকৃষ্টের কথা। জানতে চায় না, কেমন ছিল নবীজীবনের চরিত্রের বাগান! নিজের জীবনকে তারা সাঁজাতে চায় না মুহাম্মদী চরিত্রে। ধিক! শত ধিক তাদেরকে, যারা তাদের জীবনে মূল্যায়ন করতে জানেনি শ্রেষ্ঠ মানবের মহান এ আদর্শের। আমি ধন্য! মহা ধন্য! এমন নবীর উম্মত হতে পেরে। হে নবী! আমি মুগ্ধ! চরম মুগ্ধ! তোমার অবাক করা আদর্শে। আমার ইচ্ছে করে চিৎকার করে বলতে, তোমাকে ভালবাসি হে নবী!

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়