ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ : জয় বাংলা স্লোগানটি আমাদের রক্তে শিহরণ জাগায়। এই স্লোগানটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নতুন মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলো। জয় বাংলা স্লোগানটি শুধু স্বাধীনতার সময় নয় বরং এখনো আমাদের রক্তে এক প্রকার শিহরণ জাগায়। আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ভাষণেও আমরা জয় বাংলা বলেছিলেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে জয় বাংলা শ্লোগানটি কিভাবে এলো।
দিবাগত রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারওয়ার।
তিনি আরো বলেন, জয় বাংলা এমন একটি স্লোগান যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণকে তাদের মুক্তিসংগ্রামে প্রবল ভাবে প্রেরণা যুগিয়েছিল। এর আগে বাঙালি কখনো এত তীব্র, সংহত ও তাৎপর্যপূর্ণ স্লোগান দেয় নি, যাতে একটি পদেই প্রকাশ পেয়েছে রাজনীতি, সংস্কৃতি, দেশ, ভাষার সৌন্দর্য ও জাতীয় আবেগ। জয় বাংলা স্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালির প্রেরণার উৎস। সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর অবধারিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জয় উদযাপন করতেন।
গোলাম সারওয়ার আরো বলেন, কখন কীভাবে এই স্লোগানটির উৎপত্তি হয়েছিল তা সুনিশ্চিতভাবে জানা যায় না। একসূত্রে বলা হয়েছে যে ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষা দিবস (১৭ মার্চ) যৌথভাবে পালনের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ-এর আহুত সভায় তৎকালীন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফতাব আহমেদ ও চিশতী হেলালুর রহমান “জয় বাংলা” স্লোগানটি সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেন। তবে ১৯৭০ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা শহরে পল্টনের এক জনসভায় ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান তার ভাষণে সর্বপ্রথম “জয় বাংলা” স্লোগানটি উচ্চারণ করেছিলেন বলে প্রচলিত আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে প্রথম “জয় বাংলা” স্লোগানটি উচ্চারণ করেন ১৯৭০ সালের ৭ জুন রেসকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসভার ভাষণে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখনো তার ভাষণে এই জয় বাংলা বলে থাকেন। তাছাড়া আমরাও আমাদের বক্তৃতা শেষে জয় বাংলা বলে থাকি।
আপনার মতামত লিখুন :