হামিম আহসান: প্রায় ২৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করেন ডাকসু নির্বাচন না হলে ভবিষ্যৎ জাতি ও নেতৃত্বে শূন্যতা তৈরি হবে।
ছাত্র সংসদ ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে অনশন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকালীন স্নাতকোত্তর কোর্সের ছাত্র ওয়ালিদ আশরাফ। ডাকসু নির্বাচন হতে হবে এ দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে চলছে তার এই অবস্থান।
তিনি বলেন, যখন স্বৈরাচার সরকার ছিল তখনও ডাকসু নির্বাচন ছিল। আইয়ুব-ইয়াহিয়ার আমলেও ডাকসু নির্বাচন ছিলো। কিন্তু ৯০ সালের পর থেকে কেন হয় না সেটাই আমরা জানি না। ছাত্রদের জন্য এটা খুবই অপমানজনক এবং অস্বস্তিকরও বটে। এটা আমাদের গণতন্ত্রের রূপ নয়।
ওয়ালিদের সমর্থনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া দুঃখজনক।
এক শিক্ষার্থী বলেন, এটা অনুনয়, বিনয় বা আবেদন নয়। এটা অধিকার। আমরা এ অধিকার ফিরে পেতে চাই।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারাও মনে করেন ২৭ বছর ধরে বন্ধ থাকা ডাকসু নির্বাচন সময়ের দাবি। তারা জানান ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বে দেশ একটি গন্তব্যে পৌঁছাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে কেউ যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নেতা নির্বাচিত হয় সেটা কোনো সংগঠনের না। তাই আমরা চাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ন্যূনতম রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মান সেটি আর রক্ষিত থাকবে না যদি না অনতিবিলম্বে এখনি ছাত্র সংগঠনগুলোকে কার্যকর করা না হয়। ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৬ জনু আর ১৯৯৮ সালে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলো কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: একাত্তর টিভি
আপনার মতামত লিখুন :