শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:৩২ সকাল
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৯:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোচিং সেন্টার খুলে জঙ্গিদের আরবি শেখাতো জেএমবি সদস্য তাওহীদ

ডেস্ক রিপোর্ট : কোচিং সেন্টার খুলে জঙ্গিদের আরবি শিক্ষা দিতো র‌্যাবের হাতে আটক মো. তাওহীদুল ইসলাম ওরফে জুবায়ের ওরফে জুনায়েদ ওরফে আবু সাদকে (২৭)। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি ভাড়া বাসায় কোচিং শুরু করে সে। এই কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে জঙ্গি সদস্যদের আরবি পড়া ও অর্থ বোঝার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া উগ্রবাদী মতামত, বিভিন্ন বার্তা ও বই অনুবাদ করে প্রচারণা চালাতো।

গত ২৯ নভেম্বর রাতে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার জঙ্গি সদস্য তাওহীদুলের পরিচয় ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর সিও (কমান্ডিং অফিসার) অতিরিক্ত ডিআইজি শাহাবুদ্দীন খান।

তিনি বলেন, ‘তাওহীদুল ইসলাম ২০০৫ সালে  লালবাগের একটি মাদ্রাসা থেকে ‘হেফজ’ পাস করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র পড়ানোর কাজ শুরু করে। এসময় শাজাহান নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে সে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বা হুজিতে যোগ দেয়। হুজিতে থাকা অবস্থায় সে অন্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে  যোগাযোগ তৈরি করে ।

শাহাবুদ্দীন খান জানান, ২০১২ সালে সাজিদ নামের একজন জেএমবি সদস্যের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে সে জেএমবির কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে থাকে। পরে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে  হুজি ত্যাগ করে সে পুরোপুরি জেএমবির সারোয়ার গ্রুপে যোগ দেয়।

র‌্যাব ১০-এর সিও শাহাবুদ্দীন খান বলেন, ‘আরবিতে দক্ষতার কারণে তার এক ছাত্রের পরামর্শে ২০১৬ সালের মে মাসে তাওহীদুল ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আরবি শিক্ষার একটি কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে। এই কোচিং সেন্টারে জেএমবির ১২-১৫ জন করে সদস্য আরবি পড়া ও অর্থ বোঝার প্রশিক্ষণ নিতো। রাশেদ নামের অন্য একজন জেএমবি সদস্য এই বাসাটি ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এর কিছুদিন পর তাওহীদ জেএমবির শীর্ষস্থানীয় সদস্য ইমরান আহমেদের সান্নিধ্যে আসে। এরপর সে ইমরান ও তার ছেলেকে তাদের বাসায় গিয়ে আরবি পড়ানোর কাজ শুরু করে। ’

জেএমবি’র আর্থিক বিষয়ও তাওহীদ দেখাশুনা করতো বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা। তিনি বলেন,‘ধীরে ধীরে ইমরান আহমেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে তাওহীদ সংগঠনের আর্থিক বিষয়াদিও দেখাশুনা  শুরু করে। সে ইমরানসহ সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সাজিদের কাছে পৌঁছে দিতো। পরবর্তীতে ইমরানের পরামর্শে সে তার কোচিং সেন্টারটি স্থানান্তর করে ইমরানের বাসায় নিয়ে চালু করে। সংগঠনের সদস্যদের আরবি শেখানোর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রাপ্ত উগ্রবাদী মতামত, বিভিন্ন বার্তা ও বই সে অনুবাদ করে দিতো। এভাবে তাওহীদ জেএমবির সারোয়ার গ্রুপের সদস্যদের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। সর্বশেষ সে জেএমবির সারোয়ার গ্রুপের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছিল।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়